হার থেকে শিক্ষা নিয়েছে বঙ্গ বিজেপি! এবার স্লোগান আর প্রচারসূচি বদলের সিদ্ধান্ত গেরুয়া শিবিরে
উপনির্বাচনে ৩ কেন্দ্রে বড় হার থেকে শিক্ষা নিয়েছে রাজ্য বিজেপি। রাজ্য নেতৃত্বের তরফে জেলাগুলিকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এবার দরজায় দরজায় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে প্রচার করতে হবে।
উপনির্বাচনে তিন কেন্দ্রে বড় হার থেকে শিক্ষা নিয়েছে রাজ্য বিজেপি। রাজ্য নেতৃত্বের তরফে জেলাগুলিকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এবার দরজায় দরজায় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে প্রচার করতে হবে। যে বিলে দেশে আগত অমুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, আগামী সোমবার লোকসভায় পেশ হতে যাচ্ছে এই বিল। মঙ্গলবার থেকে শুরু হবে আলোচনা।
খসরা আইনে অনুমোদন মন্ত্রিসভার
কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলকে অনুমোদন দিয়েছে। এবার তা সংসদে পেশ করা হবে। তারপর হবে আলোচনা। এই বিল নিয়ে ইতিমধ্যেই উত্তরপূর্বের রাজ্যগুলিতে আন্দোলন শুরু হয়েছে।
জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে জরুরি বৈঠক
জানা গিয়েছে, বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব জেলাগুলির নেতাদের নিয়ে জরুরি বৈঠটক করে। সেখানেই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে দরজায় দরজায় প্রচার চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বৈঠকে উপস্থিত কৈলাস, শিবপ্রকাশ
জানা গিয়েছে, রাজ্য ও জেলা নেতৃত্বকে নিয়ে হওয়া জরুরি বৈঠকে হাজির ছিলেন, কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় এবং শিবপ্রকাশ।
নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে আলোাচনা ছাড়াও অন্য সাংগঠনিক বিষয় নিয়েও বৈঠকে কথা হয়। সংগঠনে ফাঁকফোকর বন্ধ করে পরের বছরে পুর নির্বাচনের দিকে লক্ষ্য করে ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এবার প্রচার দরজায় দরজায়
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সিনিয়র বিজেপি নেতা, বলেছেন, তাদেরকে দরজায় দরজায় প্রচার করতে বলা হয়েছে। এই মাস থেকেই কর্মসূচি নিতে বলা হয়েছে। সেখানে সাধারণ মানুষকে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে বোঝাতে বলা হয়েছে। এছাড়াও ছোট ছোট সভাও আয়োজন করতে বলা হয়েছে। ভোটে হারের বিষয়টি পর্যালোচনা করতে গিয়ে দেখা গিয়েছে, দলের কর্মীরাই সিএবি নিয়ে অবগত নন। ফলে তারা বিল নিয়ে বার্তা ছড়াতে ব্যর্থ হয়েছেন।
৩১ অগাস্ট অসমের এনআরসির চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। সেই তালিকায় বাদ পড়েছে ১৯ লক্ষ বাসিন্দার নাম। যাঁদের মধ্যে ১২ লক্ষ হিন্দু। ভোটের প্রচারে এইসব মানুষগুলোর কথাই বারবার করে তুলে ধরেছে তৃণমূল। ফলে তারা সুবিধাজনক জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে।