সবাই সিবিআই র্যাডারে আসবে বলে হুঁশিয়ারি সুকান্তের! ছবি তোলার চেষ্টা, কটাক্ষ কুণালের
সবাই সিবিআই র্যাডারে আসবে বলে হুঁশিয়ারি সুকান্তের! ছবি তোলার চেষ্টা, কটাক্ষ কুণালের
বিজেপির বিকাশ ভবন অভিযান ঘিরে ধন্ধুমার কাণ্ড। দফায় দফায় পুলিশের সঙ্গে খন্ডযুদ্ধে জড়ালেন বিজেপি নেতা-কর্মীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশের বিরুদ্ধে লাঠিচার্জের অভিযোগ। আর এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে সরগরম হয়ে ওঠে বিকাশ ভবন চত্বর।
এই প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, আমরা সবাই বসেছিলাম। কিন্তু পুলিশ অমানবিক ভাবে লাঠিচার্জ করেছে বলে দাবি। শুধু তাই নয়, পুলিশের লাঠির আঘাতে ১০ জন বিজেপি কর্মী আহত হয়েছেন বলেও দাবি বঙ্গ বিজেপির। যদিও পুলিশের তরফে কোনও লাঠিচার্জ করা হয়নি বলে দাবি।
কি বলছেন সুকান্ত মজুমদার
ঘটনা প্রসঙ্গে এদিন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, রাজ্যে গণতন্ত্র বলে কিছু নেই। পুলিশ মহিলাদের উপর অত্যাচার করেছে। প্রত্যেককে চিহ্নিত করে মামলা করারও হুশিয়ারি বিজেপি সাংসদের। শুধু তাই নয়, তাঁর মতে, সবাই সিবিআই র্যাডারে আসবে। বিধায়ক-সাংসদদের সুপারিশে এসএসতিতে চাকরি হয়েছে বলেও এদিন মারাত্মক অভিযোগ সুকান্ত মজুমদারের। খুব শিঘ্রই সেই সংক্রান্ত প্রমান্য কাগজ তুলে দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। কোনও তৃণমূল নেতা পালিয়ে বাঁচতে পারবেন না।
শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি অগ্নিমিত্রা পালের
এদিন বিজেপি যুব মোর্চার কর্মসূচিতে বঙ্গ বিজেপির একাধিক শীর্ষ নেতাকে দেখা গিয়েছে। ছিলেন প্রিয়াঙ্কা টিবড়েওয়াল, অগ্নিমিত্রা পালের মতো নেতৃত্বও। তবে এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যা প্রশাসনকে তীব্র আক্রমণ শানালেন বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। তাঁর দাবি, একটা মিথ্যা ঢাকতে আরও মিথ্যা উনি বলেন। বাংলায় ৪০ লাখ চাকরি হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। কিন্তু কোথায় চাকরি? এই বিষয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন অগ্নিমিত্রা। তাঁর দাবি, বাংলায় যোগ্য চাকরি প্রার্থীরা গান্ধীমূর্তির পাদদেশে অনশন করছে। আর যারা অযোগ্য, তারা টিএমসির সাপোর্টার, পিছনের দরজা দিয়ে মোটা অঙ্কের টাকার মাধ্যমে চাকরি পাচ্ছে বলে মারাত্মক অভিযোগ বিধায়কের।
তীব্র কটাক্ষ কুণালের
তবে বিজেপির এহেন কর্মসূচিকে পালটা তীব্র আক্রমণ তৃণমূলের তরফে। তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের দাবি, মানুষের থেকে বিচ্ছিন্ন একটা দল। গায়ে পড়ে গণ্ডগোলের চেষ্টা করা হয়েছে বলেও অভিযোগ তাঁর। শুধু তাই নয়, ছবি তোলার জন্যে এই সব চেষ্টা বলেও কটাক্ষ কুনালের। তাঁর মতে, সুকান্তবাবু পরিচয়হিনতায় ভুগছেন। শাসকদলের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলা হলেও আদৌতে এগুলি বিদ্রোহী বিজেপি নেতাদের দেখানো চেষ্টা সুকান্ত বাবুরা করছেন বলে দাবি প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদের। লোক ছিল না বলেও তোপ তাঁর।
তৃণমূলকে হারানোর 'সাধ্য’ নেই বিজেপির! কার্যত স্বীকার করে নিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি