তৃণমূল কংগ্রেস ফ্যাক্টরই নয়, ত্রিপুরায় বিজেপির বিরোধী দল বেছে দিলেন বঙ্গের সুকান্ত
তৃণমূলের যুবনেত্রী সায়নী ঘোষকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় আচমকাই একদল দুষ্কৃতী হামলা চালাল ত্রিপুরার আগরতলা পূর্ব মহিলা থানায়। এই ঘটনায় আক্রান্ত হয়েছেন তৃণমূল নেতারা।
তৃণমূলের যুবনেত্রী সায়নী ঘোষকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় আচমকাই একদল দুষ্কৃতী হামলা চালাল ত্রিপুরার আগরতলা পূর্ব মহিলা থানায়। এই ঘটনায় আক্রান্ত হয়েছেন তৃণমূল নেতারা। তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা মাথায় হেলমেট পরে হাতে লাঠি নিয়ে থানায় ঢুকে হামলা চালিয়েছে। এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ফুৎকারে ওড়ালেন ত্রিপুরায় তৃণমূলের অস্তিত্ব।
বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস ত্রিপুরায় কোনও ফ্যাক্টর নয়। অযথা ত্রিপুরায় গিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস ভোটের আগে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করছে। তৃণমূল ত্রিপুরার পুরভোটে কোনও প্রার্থী দিতে পারছে না। এখন পুরভোটের আগে বাংলার নেতারা গিয়ে ত্রিপুরাকে সরগরম করে তুলছেন।
সুকান্ত মজুমদার বলেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো তথাকথিক বিরাট মাপের নেতার সভাতেও ৫০০ লোক হয় না ত্রিপুরায়। ত্রিপুরার সমাবেশে লোক নিয়ে যেতে হয় বাংলা থেকে। স্বাভাবিকভাবেই ত্রিপুরায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনও প্রভাব নেই।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার আরও বলেন, ত্রিপুরায় সত্যিই যদি বিজেপির কোনও বিরোধী দল থাকে, তা হল সিপিএম। তৃণমূল কংগ্রেস এখানে কোনও ফ্যাক্টরই নয়। ওদের পায়ের তলায় কোনও মাটি নেই। পুরভোটে প্রার্থী দিতে পারেনি ওরা। এখন ত্রিপুরায় গিয়ে ভোট প্রচারের নামে হিংসা ছড়াচ্ছে।
রবিবার যুব তৃণমূলের সভানেত্রী সায়নী ঘোষকে থানায় তলব করাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। আগরতলার পূর্ব মহিলা থানায় তাঁকে তলব করা হয়। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় আচমকাই একদল দুষ্কৃতী হাতে লাঠি নিয়ে হেলমেট পরে থানায় হামলা চালায়। সেই ঘটনায় তৃণমূল নেতারা আক্রান্ত হন। তৃণমূল নেতাদের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। আহত তৃণমূল নেতাদের হাসপাতালে নিয়ে যেতেও বাধা দেওয়া হয়।
তৃণমূলের অভিযোগ, থানায় ঢুকে একদল দুষ্কৃতী হামলা চালাল। অথচ পুলিশ কাঠের পুতুল হয়ে রইল। তারা কাউকে ধরতে পারেনি, গ্রেফতার করতে পারেনি। দুষ্কৃতীরা থানায় ঢুকে ইটবৃষ্টি করে গেল। পুলিশ গর্তে সেঁধিয়ে রইল। তৃণমূলের অভিযোগ, এই সব ঘটনা সাজানো। বিজেপি ও পুলিশ যোগসাজোশে এই হামলা চালানো হয়েছে। পুলিশ তাদের থানায় ডেকে এনে মার খাইয়ছে দুষ্কৃতীদের দ্বারা।
তৃণমূলের
তরফে
জানানো
হয়েছে,
ত্রিপুরায়
জঙ্গলরাজ
চলছে
বিপ্লব
দেবের
রাজত্বে।
বিজেপির
পায়ের
তলার
জমি
সরে
গিয়েছে।
তাই
তাঁরা
থানায়
ঢুকে
হামলা
চালাচ্ছে।
পুলিশও
কাঠের
পুতুল।
দুষ্কৃতীদের
ধরতে
পারে
না,
তাঁদের
কাজ
শুধু
তৃণমূল
নেতাদের
হয়রানি
করা।
বিজেপি
গণতান্ত্রিকভাবে
লড়তে
পারছে
না,
তাই
পুলিশকে
দিয়ে
এসব
করাচ্ছে।
রাজনৈতিকভাবে
দেউলিয়া
হয়ে
গিয়েছে
বিজেপি।