সব ব্যাটাকে বিজেপিতে যোগ দিতে হবে! পঞ্চায়েতের প্রচারে নাকখত-বার্তা দিলীপের
এক বছরের মধ্যে সব ব্যাটাকে বিজেপিতে যোগ দিতে হবে। পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনের সভা থেকে প্রচ্ছন্ন বার্তা বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের।
এক বছরের মধ্যে সব ব্যাটাকে বিজেপিতে যোগ দিতে হবে। পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনের সভা থেকে প্রচ্ছন্ন বার্তা বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের। যাঁরা আজ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে পঞ্চায়েত দখল করছেন, প্রধান হচ্ছেন, তারা কেউ পার পাবেন না। সবাইকে এক বছরের মধ্যে বিজেপিতে আসতে হবে। তখন নাকখত দিয়েই তাদের বিজেপিতে যোগ দিতে হবে।
[আরও পড়ুন:পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভবিষ্যৎকে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে ফেলছে মামলা, এবার সিপিআই হাইকোর্টে]
সবাইকে বিজেপি জয়েন করাবই। পঞ্চায়েতের প্রচারে গিয়ে শাসক দলের উদ্দেশ্যে চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। সেইসঙ্গে তিনি বলে দিলেন কেউ পার পাবেন না। আমাদের যে টাকা আদালতে গিয়ে খরচ হচ্ছে, সেই টাকার যাবতীয় হিসেব সুদে-আসলে মিটিয়ে নেব।
এমনকী যারা পঞ্চায়েতে, সমিতিতে বা জেলা পরিষদে লুঠ করেছে, তাদের কাউকেই সেই লুঠের টাকা হজম করতে দেওয়া হবে না বলে জানালেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। প্রচ্ছন্ন হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, সবার পেট কেটে লুঠের টাকা বের করব। তারপর বাকি জীবনটা জেলে কাটাতে হবে তাঁদের।
এদিন তিনি আরও বলেন, তৃণমূলের আমলে দুর্নীতিতে ছেয়ে গিয়েছে তৃণমূল স্তর থেকে উপরতলা। আমরা ক্ষমতায় এলে কেই বাঁচবেন না সেই পাপ থেকে। এমনই অবস্থা করব, ছেলে-বউয়ের মুখ পর্যন্ত দেখতে পাবেন না। নমুনা শুরু হয়ে গিয়েছে। যতদিন যাবে, ততই দেখতে পাবেন এই ছবি।
এখানেই শেষ নয়, দিলীপবাবু আরও বলেন, এতদিন গুন্ডাদের পিটিয়েছি, এবার পান্ডাদের পেটাব। এই যে গুন্ডারা গুন্ডামি করছে, তাঁদের তো চালনা করছেন পান্ডারা। এবার পান্ডাদের জন্য খুব খারাপ দিন আসছে। কেউ পার পাবেন না। গুন্ডাদের পরই পান্ডাদের পিটুনির পালা।
এই বলেই তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে বলেন, যা ঝাড়ার ঝেড়েছেন, এবার সরে যান, পঞ্চায়েতে আমরা থাকব। মে মাসের পর দিদির শাড়ির রঙের মতো নীল-সাদা বাড়িগুলির দখল বিজেপি নিয়ে নেবে বলে জানান তিনি। দিদির ভাইয়েরা দোকান বন্ধ হয়ে যাওয়ার ভয়েই সব জায়গায় মনোনয়ন জমা দিতে দেয়নি বলে তাঁর মন্তব্য।
এদিন যারা দাদাগিরি করে মনোনয়ন জমা দিতে দেয়নি, তাঁদের উদ্দেশ্যে দিলীপবাবুর উক্তি, যাঁরা দাদাগিরি করে মারধর করেছে আমাদের কর্মীদের, ডাক্তার খরচ, কেসের খরচ, সব তাঁদের কাছ থেকে আদায় করব। তাই সাবধান হন এখন থেকে। বিজেপি কাউকে ছেড়ে কথা বলবে না।