‘পুলিশ তুমি শোধরাও, নয় পালিশ করে দেব’! রাতারাতি ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গেলেন দিলীপ
মেদিনীপুর থেকে লোকসভার প্রচার শুরু করে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই সভায় কিন্তু কলকে পাননি মুকুল রায়। সেখানে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষই ছড়ি ঘুরিয়েছেন।
মেদিনীপুরে নরেন্দ্র মোদীর সভা থেকে ফেরার পথে খড়গপুরে পুলিশ পিটিয়েছে বিজেপি। এরপর বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানিয়েছিলেন, মাথা গরম করে করে এই কাজ করে ফেলেছিলেন কর্মীরা, ঠিক হয়নি পুলিশ পেটানো। এই বিবৃতির পর ৪৮ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই পুলিশকে পালিশ করে দেওয়ার হুঙ্কার ছাড়লেন খোদ সভাপতিই।
উত্তর ২৪ পরগনার বাগদায় দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, বিজেপিকে ভয় দেখানোর দিন চলে গিয়েছে। যদি না শোধরাও রোজ পালিশ করে দেব। পুলিশের উদ্দেশ্যেই এই হুঙ্কার ছাড়লেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। তিনি খড়গপুরে পুলিশ পেটানো নিয়ে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গিয়ে বলেন, বিজেপিকে আটকানোর চেষ্টা করলেন এরকম ঘটনা তো ঘটবেই।
উল্লেখ্য মেদিনীপুরে নরেন্দ্র মোদীর জনসভায় যোগ দিতে যাওয়ার সময় পুলিশ ও সিভিক ভলেন্টিয়ারদের মারধরের অভিযোগ ওঠে। সে প্রসঙ্গেই দেড় দিনের ব্যবধানে ভিন্ন সুর শোনা গেল বিজেপি রাজ্য সভাপতির গলায়। এদিন তিনি বলেন, তৃণমূলের গুন্ডারা তিন পুলিশকর্মীকে গুলি করে মেরেছিল, আমরা কিন্তু মারিনি। আমাদের ছেলেদের চার ঘণ্টা আটকে রেখেছে, তারা রাজে পুলিশকে চড় মেরেছে। গুলি তো মারেনি। এটুকু তো সহ্য করতেই হবে। এতে কষ্ট পাওয়ার কী আছে!
এর পর তিনি বলেন, বিজেপিকে আটকানোর চেষ্টা করলে এরকম ঘটনা ঘটবেই। পুলিশের সাবধান থাকা উচিত ছিল। পুলিশ যদি নিজেদের না শোধরায়, নিজেদের তৃণমূলের ক্যাডারের মতো ব্যবহার করে, পুলিস যদি মনে করছে তৃণমূলের চাকরি করছে, তাহলে আমরা পুলিশকে পালিশ করে দেব, দিদির ভাইয়েদেরো পালিশ করে দেব।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সভায় জনপ্লাবন দেখে তৃণমূলের মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে। তাই এখন রাজ্যের মন্ত্রীদের মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে। বিজেপির উত্থানে ভয় পেয়েছে তৃণমূল। পাগলের প্রলাপ বকতে শুরু করেছেন শাসক দলের নেতারা। বলছে বিহার-ঝাড়খণ্ড-ওড়িশা থেকে লোক এনেছে বিজেপি। বাইরের লোক হলে তৃণমূলের লোক পুলিশ তো আটকে দিতে পারত।
আর মোদীর সভার দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষের যুক্তি, এত বড় অনুষ্ঠানে কোনও বড় পুলিশ কর্তাকে দেখা যায়নি। ওরা সহযোগিতার বদলে বাধার সৃষ্টি করেছে। এই দুর্ঘটনার সমস্ত দায়ভার পুলিশের। কর্তব্যে গাফিলতির বিষয়টি পুলিশ এড়িয়ে যেতে পারে না।
[আরও পড়ুন:মোদী-সঙ্গ ত্যাগ সাংবাদিক থেকে রাজনীতিক হয়ে ওঠা চন্দনের, কী কারণ নেপথ্যে]
[আরও পড়ুন: একুশে জুলাই মমতার মঞ্চে বিজেপি নেতা! আরও বড় চমকের অপেক্ষায় তৃণমূল কংগ্রেস]