তৃণমূলের ‘ছিঁচকে মস্তান’দের প্রশ্রয় দিচ্ছে পুলিশ! থানা জ্বালিয়ে দেওয়ার হুঙ্কার দিলীপের
তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাদের এক হাত নিয়ে পুলিশকে চরম হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাদের এক হাত নিয়ে পুলিশকে চরম হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। শুক্রবার উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়ায় দলের থানা ঘেরাও কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ হুঙ্কার ছাড়েন, পুলিশ শাসকদলের হয়ে কাজ করছে। এরকম চললে উচিত শিক্ষা পাবে পুলিশ।
তৃণমূল কংগ্রেসের অনুব্রত মণ্ডল পুলিশের মাথায় বোম মারার নিদান দিয়েছিলেন। আর এদিন বিজেপির দিলীপ ঘোষ থানা জ্বালিয়ে দেওয়ার হুঙ্কার ছাড়লেন। তাঁর উসকানিমূলক মন্তব্যে ফের উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ল রাজনৈতিক মহলে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ এরীপ উসকানিমূলক মম্তব্যের কঠোর সমালোচনা করেন এদিন।
শুক্রবার হাবড়া থানা ঘেরাও করে দিলীপ ঘোষ তোপ দাগেন, তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা সবাই 'ছিঁচকে মস্তান'। রাজ্যজুড়ে তৃণমূলের এইসব 'ছিঁচকে মস্তান'দের প্রশ্রয় দিচ্ছে পুলিশ। পুলিশ তৃণমূলের হয়ে কাজ করছে বলে অভিযোগ করেন দিলীপ ঘোষ। শুধু তিনিই নন, বিজেপি নেতৃত্বের পক্ষ থেকে এদিন অভিযোগ করা হয়, পুলিশের মদতে শাসকদল সন্ত্রাস করে খুন করছে তাঁদের কর্মীদের। সম্প্রতি পুরুলিয়ায় সবেমাত্র কৈশোর থেকে তারুণ্যে পা দেওয়া এক দলীয় কর্মীকে খুন করা হয়েছে নৃশংসভাবে।
[আরও পড়ুন:লোকসভার আগেই বড়সড় পরিবর্তন তৃণমূলে! নয়া 'নেতৃত্বে'র উত্থানে শোভনকে বার্তা ]
পঞ্চায়েত ভোটের লাগামহীন সন্ত্রাস এবং নির্বাচনোত্তর পর্বেও সেই সন্ত্রাস জারি থাকার প্রতিবাদে বিজেপি এদিন রাজ্যজুড়ে থানা ঘেরাও অভিযান করে। সেই অভিযানে নেমেই বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে খুনের রাজনীতির শেষ হয়নি এখনও। তৃণমূলের এই খুনি রাজনীতিকে পুলিশ মদত দিয়ে চলেছে। প্রকারান্তরে শাসকদলের হয়েই কাজ করছে পুলিশ।
তৃণমূল কংগ্রেসকে উদ্দেশ্য করে দিলীপ ঘোষের এই হুঙ্কার প্রসঙ্গে তৃণমূল মহসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, পঞ্চায়েত ভোটের ফলে হতাশ হয়েই এইসব কথা বকছেন দিলীপ ঘোষ। কোনও সারবত্তা নেই তাঁর এসব কথার। পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর বৃহস্পতিবার উপনির্বাচনের ফল দেখেও হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন বিজেপি নেতারা। তাই এইসব বাজে কথা বলে এলাকা উত্তপ্ত করার চেষ্টা করছেন। উসকানিমূলক কথাবার্তা বলছেন। পঞ্চায়েতে যেটুকু অশান্তি হয়েছে, রক্তপাত হয়েছে, তা বিজপির উসকানিতেই হয়েছে বলে দাবি তৃণমূলের।