বিজেপির লাইনে কোন তৃণমূল নেতারা আছেন, জানলে চমকে যাবেন, প্রচারে দিলীপ
তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে এত লোক তাঁদের দলে আসবে, সেটা কেউ কল্পনাও করতে পারছে না। রবিবার মেদিনীপুর নির্বাচনী প্রচার এবং ‘আমিও চৌকিদার’ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে এই কথা বলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে এত লোক তাঁদের দলে আসবে, সেটা কেউ কল্পনাও করতে পারছে না। রবিবার মেদিনীপুর নির্বাচনী প্রচার এবং 'আমিও চৌকিদার' অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে এই কথা বলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি এদিন তৃণমূলকে পাল্টা হুঁশিয়ারি দেন দলের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা নিয়ে।
তিনি বলেন, এবার রাজ্যে বিজেপির কোন অস্তিত্ব থাকবে না বলে অনেক তৃণমূল কংগ্রেস নেতা ব্যঙ্গ করেছিলেন। অনেকে মন্তব্য করেছেন, বিজেপি দলের পা ভেঙে যাবে। তার উত্তরে দিলীপ ঘোষ বলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় সবাই আমাদের শক্তি দেখেছেন। এবার আমরা তৃণমূল কংগ্রেসের কোমর ভেঙে দেব। যাতে ওরা আর দাঁড়াতে না পারে।
তাঁর কথায়, ওদের দল থেকে আমাদের দিকে আসা তো সবে শুরু হয়েছে। এবার এমন এমন লোক আসবে যে, ওরা চমকে যাবে। ওরা ভাবতে পারবে না যে কারা কারা লাইনে আছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের মত এই লোকসভা নির্বাচনেও রাজ্যে আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় বিজেপি ভালো ফল করবে বলেও দাবি করেন তিনি।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, আগামী ৩ এপ্রিল কলকাতার ব্রিগেড সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভায় রেকর্ড ভিড় হবে। রাস্তায় যানজট এড়াতে তারা ওই সভায় ট্রেনে করে কর্মী সমর্থকদের আনার কথা ভাবছেন। মোদীজির ব্রিগেডও তৃণমূলের বিদায় ঘণ্টা বাজিয়ে দেবে রাজ্য থেকে।
এদিন বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় সুরক্ষা নিয়ে রাজ্য সরকারের সমালোচনা করেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, রাজ্য সরকারের অসহযোগিতার কারণে সীমান্ত এলাকায় সুরক্ষা নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। কাঁটা তারহীন এলাকা দিয়ে অনুপ্রবেশ হচ্ছে। তাঁর অভিযোগ সীমান্ত এলাকায় কাঁটা তার দেওয়ার জন্য যে জমি দরকার তা রাজ্য সরকার দিচ্ছে না। নিজের স্বার্থ রক্ষার জন্যই এই কাজ করছে তৃণমূল।