২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচন সেমিফাইনাল বিজেপির! 'ফাইনাল' জয়ের স্বপ্ন দিলীপের
লোকসভার আগে সেমিফাইনাল যুদ্ধ বলা হচ্ছিল পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনকে। সেই নির্বাচনে ডাহা ফেল করেছে বিজেপি। পাঁচে শূন্য পেয়েছে গেরুয়া শিবির।
লোকসভার আগে সেমিফাইনাল যুদ্ধ বলা হচ্ছিল পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনকে। সেই নির্বাচনে ডাহা ফেল করেছে বিজেপি। পাঁচে শূন্য পেয়েছে গেরুয়া শিবির। এবার সামনে ২০১৯ লোকসভা। এই মহাযুদ্ধের প্রাক্কালে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের বার্তা ২০১৯ নির্বাচনটাই তাঁদের কাছে সেমিফাইনাল। আর ফাইনাল ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচন। দুই নির্বাচনেই জিতব আমরা।
বাংলায় পরিবর্তনের আওয়াজ
ঝাড়গ্রামে বিজেপির গণতন্ত্র বাঁচাও অভিযানের দ্বিতীয় সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সরব হলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। তিনি টার্গেট করলেন রাজ্য সরকারকে। বাংলায় পরিবর্তনের আওয়াজ তুললেন। আগামী ২০২১-এ তৃণমূলকে হারিয়ে নতুন সরকার গড়ার ডাক দিলেন বঙ্গ বিজেপির কাণ্ডারি।
২০২১-এ তৃণমূলের বিদায়
তিনি বলেন, ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচন হল রাজ্যের সেমিফাইনাল যুদ্ধ। আর ফাইনাল হল ২০২১-এর বিধানসভা। ২০১৯-এ আমরা আমাদের টার্গেট পূরণ করব। সেইসঙ্গে বিজেপি রাজ্য সভাপতি এদিন আওয়াজ তুললেন, ২০২১-এ তৃণমূলকে রাজ্য থেকে উপড়ে ফেলার।
বাংলাতেও হবে বিজেপির সরকার
তাঁর কথায়, ২০১৯-এ কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসবেন মোদীজি। আর তার দু-বছর পরেই এ রাজ্যে অর্থাৎ বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন। সেই যুদ্ধে প্রকৃত পরিবর্তন আসবে বাংলায়। বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে উপড়ে ফেলব আমরা। বাংলাতেও হবে বিজেপির সরকার।
শাহের পরিবর্তে ইরানি
এদিন ঝাড়গ্রামে বিজেপির গণতন্ত্র বাঁচাও অভিযানের দ্বিতীয় সভায় উপস্থিত ছিলেন স্মৃতি ইরানি। এখানে উপস্থিত থাকার কথা ছিল সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের। কিন্তু তিনি শারীরিক অসুস্থতার জন্য ফিরে গিয়েছেন দিল্লি। তাঁর পরিবর্তে কেন্দ্রীয়মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি এসেছিলের ঝাড়গ্রামে। তিনিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে একহাত নেন।