নেপথ্যে তৃণমূলের হাত! তারকেশ্বর মন্দিরে বাধার মুখে পড়লেন দিলীপ ঘোষ
কয়েকদিন আগে পাহাড়ে গিয়ে প্রবল বাধার মুখে পড়েন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁকে নিগৃহীত হতে হয়। এবার বাধার মুখে পড়লেন তারকেশ্বর মন্দিরে।
ফের বাধার মুখে পড়লেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। পাহাড়ের পর সমতলেও বিজেপি রাজ্য সভাপতির কর্মসূচি বাধার সম্মুখীন হল। তারকেশ্বর মন্দিরে বিজেপি রাজ্য সভাপতির পুজোর দেওয়াকে কেন্দ্র করে বিপত্তি বাধে। বিজেপি রাজ্য সভাপতির অভিযোগ, পরিকল্পিতভাবে তাঁকে পুজো দিতে বাধা দেওয়া হয়। অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে।
শুক্রবার সকালে তারকেশ্বর মন্দিরে পুজো দিতে গিয়েছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর সঙ্গে ছিলেন হুগলি জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি ভাস্কর ভট্টাচার্যও। অভিযোগ, যে পূজারিকে নিয়ে পুজো দেওয়ার কথা ছিল দিলীপ ঘোষের, তাঁকে আসতে দেওয়া হয়নি মন্দিরে। দিলীপ ঘোষের পুজো দেওয়া আটকাতেই তৃণমূল প্রভাবিত মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে এই চাল খেলা হয়। দলের অঙ্গুলিহেলনেই এই কাজ করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
হুগলি জেলা সভাপতি ভাস্তর ভট্টাচার্য বলেন, পূজারিকে মন্দিরে আসতে বাধা দেওয়া হয়। তাঁকে নানাভাবে কয়েকদিন ধরেই হুমকি দেওয়া হচ্ছিল বলেও অভিযোগ করেছে বিজেপি। এমনকী তাঁকে ওই পূজারির ডালা বন্ধ করে দেওয়ারও হুমকি দেওয়া হয়েছিল। ফলে তারকেশ্বর মন্দিরে পুজো দিতে গিয়ে আটকে পড়েন দলের রাজ্য সভাপতি।
তৃণমূল এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে। তাঁদের কথায়, সস্তার প্রচার পাওয়ার জন্যই এই অভিযোগ করছে। দিলীপ ঘোষ তথা বিজেপির এই ভিত্তিহীন অভিযোগকে গুরুত্ব দিতে রাজি নয় তৃণমূল কংগ্রেস। উল্লেখ্য কয়েকদিন আগে, পাহাড়ে গিয়ে প্রবল বাধার মুখে পড়েন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁকে নিগৃহীত হতে হয়। শেষপর্যন্ত তাঁকে আশ্রয় নিতে হয় থানায়।
এদিকে দিলীপ ঘোষের এই অভিযোগের পর মন্দির কমিটি মুখে কুলুপ এঁটেছে। উল্লেখ্য, কয়েক মাস আগে তারকেশ্বর উন্নয়ন পর্ষদ তৈরি করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই পর্ষদের চেয়ারম্যান করা হয়েছিল ফিরহাদ হাকিমকে। তারপরই এই অভিযোগ আনা হল। তৃণমূলকে দাঁড় করানো হল কাঠগড়ায়।