খড়গপুরে হেরে পুরসভা দখলের স্বপ্ন দেখছে বিজেপি, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বই হাতিয়ার
বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন যে শাসক তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও কাউন্সিলর বিজেপিতে এলে তাদের প্রার্থী করার ক্ষেত্রে চিন্তা ভাবনা করবে বিজেপি।
বিধানসভা উপ নির্বাচনে হারের পরও খড়গপুর পুরসভা দখল করার স্বপ্ন দেখতে ছাড়ছে না বিজেপি । আগামী বছর এই পুরসভায় নির্বাচনের সম্ভাবনা রয়েছে । এখন থেকেই এই পুরসভা দখল করার জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করে দিয়েছে বিজেপি। এমনকী এই খড়গপুর এলাকায় শাসক তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব কে কাজে লাগিয়ে এই পুরসভা দখল করে নিতে চাইছে বিজেপি।
শনিবার খড়গপুর শহরে এসে বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন যে শাসক তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও কাউন্সিলর বিজেপিতে এলে তাদের প্রার্থী করার ক্ষেত্রে চিন্তা ভাবনা করবে বিজেপি।
দিলীপ ঘোষ বলেন , শুধু মাত্র খড়গপুরে না, আরও অনেক জায়গায় তৃণমূল কংগ্রেসের কাউন্সিলর ও নেতারা আমাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন । তারা আমাদের দলে আসতেই পারেন । এলে তাদের হাতে দলের ঝান্ডা ধরিয়ে দেওয়া হবে । তাদের প্রার্থী করা হবে কি না তা নিয়ে চিন্তা ভাবনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
খড়গপুর পুরসভা এলাকা নিয়ে এই পুরসভা । সম্প্রতি যে বিধানসভা উপ নির্বাচন হয় তাতে প্রায় কুড়ি হাজার ভোটের ব্যবধানে হারে বিজেপি। সেই বিজেপি আগামী বছর এই পুরসভা দখল করার জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করে দিয়েছে বলে দাবি করেছেন দিলীপ ঘোষ ।তিনি বলেন, পুরসভা দখল করার জন্যই বিজেপি লড়াই করবে।
২০১৫ সালে খড়গপুর পুরসভা নির্বাচনে ৩৫ আসনের মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেস ও কংগ্রেস পেয়েছিল ১১ টি করে আসন। বিজেপি জেতে ৭টি ও বামফ্রন্ট ৩টি আসনে জেতে । বিজেপি ও বামফ্রন্ট থেকে কয়েক জন কাউন্সিলর তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার জন্য এই পুরসভা দখল করে তৃণমূল কংগ্রেস। পরে কংগ্রেসের আরও কয়েক জন কাউন্সিলর তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন ।
এবার যে বিধানসভা উপ নির্বাচন হয়েছে তার প্রভাব পুরসভা নির্বাচনে পড়বে না বলে দাবি বিজেপি নেতাদের। শনিবার জৈন, বৌদ্ধ, শিখ, ক্রিশ্চান সহ অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজনের সাথে কথা বলেন বিজেপি র রাজ্য সভাপতি তথা মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ । নাগরিকত্ব আইনের ফলে তাদের কি কি সুবিধা হবে তা তাদের বোঝানো হয়েছে ।
বিজেপি ঠিক করেছে সব জায়গা তে তাদের দলের বিধায়ক ও সাংসদরা এলাকায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজনের সাথে কথা বলে তাদের নাগরিকত্ব আইন সম্পর্কে বোঝাবেন । নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে শনিবার রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষে ।
এই দিনও মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করেন দিলীপ ঘোষ । তিনি বলেন, দিদিমনি তো সাত দিন ধরে হাঁটলেন। কি লাভ হোলো? ওদের মিছিলে লোক হচ্ছে না । তৃণমূল কংগ্রেসের লোকজন দ্বিধাবিভক্ত । তারা দ্বিমত পোষণ করছে । তারা অনেকেই বলছে যে দিদিমণি যেটা করছেন সেটা ঠিক করছেন না ।