ঈশ্বরের আশীর্বাদ রয়েছে করোনাভাইরাসে ভয় নেই, মুক্তির উপায় বাতলে দিলেন দিলীপ
ঈশ্বরের আশীর্বাদ রয়েছে করোনাভাইরাসে ভয় নেই, মুক্তির উপায় বাতলে দিলেন দিলীপ
করোনাভাইরাসকে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। ভারতে তো ভয়ের কিছুই নেই। কেননা ঠাকুরের আশীর্বাদেই এই রোগ সেরে যেতে পারে। এমনই মন্তব্য করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, আমাদের দেশে প্রচুর মন্দির রয়েছে। মন্দিরে গিয়ে হাতে করে ঠাকুরের চরণামৃত আর প্রসাদ গ্রহণ করলেই সর্বরোগের উপশম হবে।
ঈশ্বরের আশীর্বাদ রয়েছে
তিনি বলেন, দেশজুড়ে হাজার হাজার মন্দিরে লোকেরা হাতের তালুতে করে দেবদেবীর চরণামৃত পান করেন এবং হাতে করে 'প্রসাদ' গ্রহণ করেন। এই দৃশ্য সচরাচর দেখা যায়। ঈশ্বরের আশীর্বাদ পেলে ওসব কিছুই হয় না। আমাদের সঙ্গে ঈশ্বরের আশীর্বাদ রয়েছে, অতএব করোনা ভাইরাস কাছে ঘেঁষবে না।
কেন এত ভয়ে সিঁটিয়ে থাকা?
দিলীপ ঘোষ আরও বলেন, যে মানবজাতি বিশ্বকে জয় করেছে এবং চাঁদে পৌঁছেছে, তারা এখন বাসা থেকে বেরিয়ে আসতে ভয় পাচ্ছে। কেন এত ভয়ে সিঁটিয়ে থাকা? ঠাকুরের আশীর্বাদ থাকলে সব ভয়কেই জয করা যায়। আমাদের সংস্কৃতি পুজো দেওয়া মন্দিরে যাওয়া প্রসাদ গ্রহণ করা। তাহলে আর কোনও বিপদ আসবে না।
মন্দিরে পুজো দেওয়ার পর দিলীপ
তিনি বলেন, পুজো দেওয়ার জন্য উপবাসের পরে মা-বোনরা দীর্ঘ দূরত্ব ভ্রমণ করেন। ভারতের সর্বত্রই আমরা এই দৃশ্য দেখি। এটি আমাদের দেশের সংস্কৃতি, দেশের পরিচয় এবং আমরা এভাবে অগ্রগতি লাভ করি। মঙ্গলবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরায় একটি পুজোয় অংশ নেওয়ার পরে একথা বলেন দিলীপ ঘোষ।
পুরো পৃথিবী ভয় পেয়েছে
দিলীপ ঘোষ আরও বলেন, করোনা ভাইরাস থেকে পুরো পৃথিবী ভয় পেয়েছে এবং লক্ষ লক্ষ লোক ঘরে বসে রয়েছে। যারা পুরো বিশ্বকে জয় করেছে তাদের কীসের ভয়। ভয পাবেন না সবাই বাইরে বেরিয়ে আসুন। দেখুন এখানে কী ঘটছে। হাজার হাজার ভক্ত পুজো দিতে বেরিয়ে এসেছেন। তারা চরণামৃত পান করছেন এবং প্রসাদ নিতে একই হাত ব্যবহার করছেন। করোনা ভাইরাসে কিছুই হবে না, কেননা তাদের কাছে সর্বশক্তিমানের আশীর্বাদ রয়েছে।
করোনা ভীতি নয়, ব্যাখ্যা দিলীপের
তিনি বলেন, আমাদের দেশে বলুন বা এই বাংলায় ভেক্টরজনিত রোগের কারণে বেশি লোক মারা যান। করোনা ভাইরাসে কয়েকজন লোক আক্রান্ত হয়েছে ঠিকই, কিন্তু ম্যালেরিয়া এবং ডেঙ্গুর কারণে দেশে মৃত্যুর সংখ্যা অনেক বেশি। আমরা তাই ভয় পাই না। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে জানা যায়, দেশে এখনও অবধি কোভিড-১৯ এর মোট ৫০টি নিশ্চিত মামলা পাওয়া গেছে। রাজ্যগুলি থেকে প্রাপ্ত প্রতিবেদনে এই সংখ্যা ৫৯ বলে জানানো হয়েছে।
দিলীপকে পরামর্শ পার্থর
দিলীপের ঘোষের এই মন্তব্যে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, বিজেপির মতো কোনও দলের রাজ্য সভাপতির পদে থাকার গুরুত্ব অনুধাবন করা উচিত। তার বদলে প্রতিদিন দিলীপবাবু হাসির খোরাক হয়ে উঠছেন। তাঁকে বুঝতে হবে যে তিনি একটি রাজনৈতিক দলের রাজ্য সভাপতি এবং সাংসদ।
করোনার সন্দেহে আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যু কর্নাটকে! আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৬২