‘আপনে ঘরমে কুত্তা’ অনুব্রত! ফের মাত্রা ছাড়িয়ে কু-কথার বাণ ছাড়লেন দিলীপ ঘোষ
ফের দিলীপ ঘোষ কু-কথার বাণ ছাড়লেন অনুব্রত মণ্ডলকে লক্ষ্য করে। এবার রাখঢাক না করে একেবারে কুকুরের সঙ্গে তুলনা করে বসলেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতিকে।
ফের দিলীপ ঘোষ কু-কথার বাণ ছাড়লেন অনুব্রত মণ্ডলকে লক্ষ্য করে। এবার রাখঢাক না করে একেবারে কুকুরের সঙ্গে তুলনা করে বসলেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতিকে। বুধবার অনুব্রতর গড়ে দাঁড়িয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেন, 'আপনে ঘরমে কুত্তা ভি শের হোতা হ্যায়'। কিন্তু বিজেপির রথ বেরোলে সব আওয়াজ বন্ধ হয়ে যাবে।
অনুব্রতকে কুত্তা-তকমা
বিজেপি রাজ্য সভাপতির সঙ্গে তৃণমূলের বীরভূমের জেলা সভাপতির আদায়-কাঁচকলায় সম্পর্ক। উভয়েই একে অপরের প্রতি তোপ দাগতে সিদ্ধহস্ত। প্রায়শই আক্রমণের সেই ভাষা রুক্ষ হয়ে যায়। এবং ছাড়িয়ে যায় শালীনতাও। আবারও সেই অশালীন ভাষায় আক্রমণ করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। বীরভূমে দাঁড়িয়ে ‘আপনে ঘরমে কুত্তা ভি শের হোতা হ্যায়'-এই কথার মাধ্যমে তাঁর নিশানা যে অনুব্রত মণ্ডলই ছিলেন, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
মাত্রা ছাড়ালেন দিলীপ
লাভপুরে বিজেপি কর্মী তাপস বাগদির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। কী কারণে এই মৃত্যু তা নিয়ে গড়মসির প্রতিবাদে বোলপুরে সভা করেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সেখানেই দিলীপ মাত্রা ছাড়ালেন। রাজ্য সরকার ও তৃণমূলকে আক্রমণ করেই থামলেন না তিনি, অনুব্রত মণ্ডলের নাম না নিয়েই তাঁকে কুকুর আখ্যা দিলেন।
তৃণমূলকে নিশানা দিলীপের
বিজেপির অভিযোগ, তাপস বাগদিকে তৃণমূল খুন করে ঝুলিয়ে দিয়েছে। লাভপুর থানায় এই মর্মে অভিযোগ দায়েরও হয়। কিন্তু পুলিশ এই ঘটনার তদন্তে নিষ্ক্রিয় বলে অভিযোগ পরিবারের, অভিযোগ বিজেপিরও। পুলিশ অভিযোগ নিলেও মামলা দায়ের করেনি বলে অভিযোগ তাদের।
দিলীপের নেতৃত্বে মিছিল
প্রতিবাদে বোলপুর রেল ময়দান থেকে শহর পর্যন্ত বিশাল মিছিল করে বিজেপি। রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বে মিছিল হয় বিজেপির। তারপরই রেল ময়দানে একটি সভা করে অনুব্রত থেকে শুরু করে তৃণমূলের তাবড় নেতাদের একহাত নেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি।
ভিত কেঁপে যাবে তৃণমূলের
তিনি বলেন, ডিসেম্বর রথ বেরোবে বিজেপির। ওই এক রথেই তৃণমূলের ভিত কেঁপে যাবে বলে জানান দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, তৃণমূলের পাপের ঘড়া ভরে গিয়েছে। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনেই তা ভেঙে খান খান হয়ে যাবে। ২০২১ সাল পর্যন্ত তৃণমূলের ঘড়া টিকবে না।
দিদি এবার বিশ্রাম নিন
এদিন শুধু অনুব্রত মণ্ডলই নন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও নিশানা করেন তিনি। তিনি বলেন, ২০২১-এর আগেই দিদিকে কালীঘাটে পাঠিয়ে দেব। বলব, দিদি এতদিন অনেক পরিশ্রম করেছেন, এবার কালীঘাটের বাড়িতে বসে বিশ্রাম করুন। বাংলায় প্রকৃত পরিবর্তন আনব আমরাই।
নীল-সাদা নিশানা
রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি দিলীপ ঘোষ। তৃণমূল সরকারকে একহাত নিয়ে তিনি বলেন, কলকাতা সাজিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী, নীল সাদা লাইটে ঝলমল করছে। কিন্তু রাজ্যে ১৫০০ কোটি টাকা ইলেকট্রিক বিল বাকি আছে। এই রাজ্যেই বিদ্যুতের বিল সবথেকে বেশি। সারা ভারতে কোনও রাজ্যের এই হাল নয়।
দিলীপকে পাল্টা অনুব্রতর
দিলীপের বাক্যবাণের পর অবশ্য পাল্টা দিতে ছাড়লেন না অনুব্রত মণ্ডল। তিনি বলেন, আসলে দিলীপবাবুই কুকুরের মতো আচরণ করছেন। উনি বোধহয় কুকুর ছিলেন। তাই কুকুরের কথা মনে পড়ে গিয়েছে ওনার। আর রথযাত্রাকে নিশানা করে তিনি বলেন, দিলীপবাবুরা মনে রাখবেন, রথের আগে থাকবে খোল-করতাল। যেভাবে শোকমিছিল যায়, বিজেপির রথযাত্রাও সেভাবে যাবে।