সভাপতির পদ থেকে দিলীপকে সরাতে চক্রান্ত! বিজেপি সভাপতির ছোড়া বাণের নিশানায় কে
আমার অসুস্থতার সুযোগ নিয়ে আমাকে পদ থেকে সরাতে চেয়েছিল কেউ কেউ। কিন্তু কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব আমার উপর ভরসা রেখেছেন। দিলীপ ঘোষ বললেন, আমিই বিজেপির রাজ্য সভাপতি।
বিজেপিতে পদের লড়াই চরমে পৌঁছল। স্বয়ং রাজ্য সভাপতিই অভিযোগ করলেন, তাঁকে সভাপতির পদ থেকে সরাতে চক্রান্ত চলছে দলের মধ্যেই। দলেরই কেউ কেউ চান না আমি সভাপতি থাকি। সেই কারণে আমার অসুস্থতার সুযোগ নিয়ে আমাকে পদ থেকে সরাতে চেয়েছিল। কিন্তু কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব আমার উপর ভরসা রেখেছেন। আমিই বিজেপির রাজ্য সভাপতি।
[আরও পড়ুন:এক লক্ষ কৃষককে পেনশন দেবে তৃণমূল সরকার! মমতার 'কল্পতরু' বাজেটে টার্গেট গ্রাম ]
এদিন বাড়িতে বসেই বাজেট নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেন। সেখানেই ক্ষুব্ধ বিজেপি রাজ্য সভাপতি দলের অন্দরের এই চিত্র প্রকাশ্য আনলেন। সামনে এসে গেল রাজ্য বিজেপির গোষ্ঠী কেন্দ্রলের বাস্তব চিত্রটা। মুকুল রায় দলের যোগ দেওয়ার পর থেকেই যে এই কোন্দল আরও বেড়েছে, তা প্রকট করে দিলেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ স্বয়ং।
তিনি নাম না করেই অভিযোগ করলেন, তার পিছন থেকে কেউ ছুরি চালানোর চেষ্টা করেছিল। কিন্তু সফল হয়নি। কোমরের অস্ত্রোপচারে তিনি যখন হাসপাতালে ভর্তি, তাঁর অবর্তমানে কে দলকে নেতৃত্ব দেবেন, সেই ধুয়ো তাঁকে সরিয়ে দিতে চেয়েছিল কেউ কেউ। বাড়ি ফেরার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই চাঞ্চল্যকর এই অভিযোগ করলেন দিলীপ ঘোষ।
তিনি এদিন বলেন, কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব কারও মুখের কথায় বিশ্বাস না রেখে ডাক্তারি রিপোর্ট চেয়ে পাঠায়। তারপরই দলের সর্বভারতীয় সভাপতি আমার বাড়ি থেকে কাজ চালানোর ব্যাপারে অনুমতি দেন। সেইমতোই কাজ চালাচ্ছি। তাঁর অভিযোগ, আমি হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই নানা গুজব রটানো হয়েছে। সেইসব অপপ্রচার আমার কানে এসেছে। অনেকে রটিয়েচে, দিলীপবাবু দলের কাজ করতে পারবেন না। আর হাঁটতে পারবেন না, সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারবেন না। আসলে এসব ছিল আমার অসুস্থতার সুযোগ নিয়ে দলে কর্তৃত্ব ফলানোর চেষ্টা।
দিলীপবাবুর এই বিস্ফোরক অভিযোগ পরই রাজনৈতিক মহলে জল্পনা চরমে উঠেছে। তাহলে দিলীপবাবুর পিছন থেকে ছুরি চালিয়েছিলেন কে? এ নিয়ে স্পিকটি নট দিলীপবাবু। যাই হোক, বিজেপি যখন পঞ্চায়েতে তৃণমূলকে লড়াই দেওয়ার স্বপ্নে বিভোর, তখন রাজ্য সভাপতির এই আশঙ্কা চিড় তৈরি করবে জন মানসে। বঙ্গ বিজেপির পক্ষে এই ঘটনা আদৌ ভালো বিজ্ঞাপন নয়। ভোটবাক্সে এর প্রভাব পড়তে বাধ্য। এই কোন্দলের জেরে বিজেপি যতটা না এগোচ্ছে, তার থেকে বেশি পিছিয়ে পড়বে বলেই মত রাজনৈতিক মহলের।
[আরও পড়ুন:বিয়ের টাকাও দেবে মমতার সরকার! পঞ্চায়েতের আগে জনমোহিনী বাজেটে বড় চমক]