অমিতাভ-মৃত্যুতে ভ্রাতৃদ্বিতীয়ার পরই আন্দোলনে বিজেপি, গুরুংয়ের পাশেই দিলীপ
পাহাড়ে সাব ইন্সপেক্টরের মৃত্যুর পর বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ মোর্চা সুপ্রিমো বিমল গুরুংয়ের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। এবার অমিতাভের ময়নাতদন্ত রিপোর্ট প্রকাশের দাবি তুললেন।
পাহাড়-যুদ্ধে দার্জিলিং পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর অমিতাভ মালিকের মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি অব্যাহত। এবার অমিতাভ মালিকের মৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিল বিজেপি। বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, 'ভ্রাতৃদ্বিতীয়ার পরই তাঁরা এসআই-মৃত্যুতে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট প্রকাশের দাবিতে আন্দোলনে নামবেন।' অমিতাভ মালিকের মৃত্যুর ঘটনাকে শাসক দল রাজনৈতির স্বার্থে ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ রাজ্য বিজেপির।
পাহাড়ে সাব ইন্সপেক্টরের মৃত্যুর পর বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ মোর্চা সুপ্রিমো বিমল গুরুংয়ের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। তারপর অমিতাভ মালিকের মৃত্যুর জন্য তিনি দায়ী করেছিলেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তাঁর অভিযোগ ছিল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাহাড়ে একাধিপত্য কায়েম করার জন্য বিমল গুরুংকে খুনের চক্রান্ত করছেন। আর সেই রাজনীতির শিকার হচ্ছেন পুলিশ আধিকারিকরা।
এবার তিনি সরাসরি এসআই অমিতাভ মালিকের মৃ্ত্যুর কারণ জানতে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রকাশ করার দাবি তুললেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, 'এ রাজ্যে তৃণমূল আমলে বহু পুলিশ আক্রান্ত হয়েছেন। অনেকেরই মৃ্ত্যু হয়েছে। সেই পাপ মুছতে পারবে না তৃণমূল। পাহাড় যুদ্ধে পুলিশ-মৃত্যুর পর বিমল গুরুংয়ের পাশে দাঁড়ানোয় তিনি সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন।'
তবে ঘরে-বাইরে সমালোচনার মুখে পড়েও তিনি এই অবস্থান থেকে সরে আসছেন না। তিনি আবারও বলেন, 'বিমল গুরুংকে মারার যুক্তি সাজাতেই পুলিশ অফিসারকে বলি দেওয়া হয়েছে।' দিলীপবাবু বলেন, 'তৃণমূল সরকারেয় যদি এতই দরদ, তারা অবিলম্বে অমিতাভ মালিকের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রকাশ করুক।'
তাঁর যুক্তি, 'ময়নাতদন্তের রিপোর্ট সামনে এলেই জানা যাবে, কারা তাঁকে গুলি করেছিল, কী ধরনের বুলেট তাঁকে বিদ্ধ করেছিল। কোন ধরনের বন্দুক থেকে তাঁকে গুলি করা হয়েছিল, তাও প্রকাশ হয়ে যাবে। ফলে এই ঘটনায় কারা জড়িত, তাও জানা যাবে। আর তাহলেই প্রকাশ হয়ে যাবে তাঁদের দাবির সত্যতা। রাজ্য সরকারে এখন তা প্রকাশ করতে ভয় পাচ্ছে।'