‘ক্যাপ্টেন’ দিলীপের কিস্তিমাত! নোয়াপাড়া-যুদ্ধে মুখরক্ষাই দায় ‘গোহারা’ মুকুলের
দিলীপ ঘোষকে টেক্কা দিয়ে নিজের পছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচনে টিকিট দিতে গিয়ে চরম বিপাকে পড়ে গেলেন কেন্দ্রীয় বিজেপির ‘তুরুপের তাস’ মুকুল রায়।
দলে প্রভাব বাড়াতে গিয়ে মুকুল রায় চরম কোণঠাসা হয়ে পড়লেন। দিলীপ ঘোষকে টেক্কা দিয়ে নিজের পছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচনে টিকিট দিতে গিয়ে চরম বিপাকে পড়ে গেলেন কেন্দ্রীয় বিজেপির 'তুরুপের তাস' মুকুল রায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে তো ধাক্কা খেলেনই, এবার হারলেন 'ক্যাপ্টেন' দিলীপ ঘোষের কাছেও। তাঁর মুখ লোকানো দায় হয়ে দাঁড়াল নোয়াপাড়ার প্রার্থী চূড়ান্ত করতে গিয়ে।
এদিন তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক মঞ্জু বসুকে বিজেপি নোয়াপাড়ার প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করে। কেন্দ্রীয় নেতা জেপি নাড্ডার সেই ঘোষণার অদ্যাবধি পরেই মঞ্জুদেবী সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়ে দেন, 'আমাকে না জানিয়েই প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। আমার নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর উপর আমার পূর্ণ আস্থা রয়েছে।'
এরপরই বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও শ্লেষের সুরে জানিয়ে দেন, 'আমরা ওই কেন্দ্রের লোককে দায়িত্ব দিয়েছিলাম মঞ্জু বসুর সঙ্গে কথা বলার জন্য। উনি মুকুল রায়ের পরিচিত। আমি ওনাকে চিনতাম না। একটা অপারেশন চালানো হয়েছিল, তা সফল হয়নি।' তারপরই তিনি বলেন, 'আমি একটা তালিকা পাঠিয়েছিলাম দিল্লিতে। সেখান থেকেই একজন প্রার্থী হবেন।' দিলীপবাবু এই কথায় বুঝিয়ে দেন, যে যতই ছড়ি ঘোরাক, আসল কাজটা তিনিই করবেন। তাঁর লোকই প্রার্থী হবেন নোয়াপাড়ায়।
এদিনের এই ধাক্কার পর বিজেপির ভিতরে দ্বন্দ্বও প্রকট হয়ে গেল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। মঞ্জু বসুকে বিজেপি প্রার্থী করার ব্যাপারটি চূড়ান্ত করে ফেলেও শেষমুহূর্তে ধাক্কা খেয়েছেন মুকুল রায়। ফলে শীর্ষ নেতৃত্বের কাছেও মুখ পুড়েছে তাঁর। কৈলাশ বিজয়বর্গীয়র সঙ্গে বৈঠক করিয়েও কোনও আশাপ্রদ ফল তুলতে পারেননি তিনি। দিনের শেষে 'ক্যাপ্টেনে'র কাছে হারতে হয়েছে। এরপর তাঁর কথার আর গুরুত্ব কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্বের কাছে থাকবে কি না, তাও সন্দেহের।