‘হাত থাকতে মুখে কেন, মেরে হাড়গোড় ভেঙে দেব’! দিলীপের উত্তেজক ভাষণে তপ্ত রাজনীতি
বিজেপি রাজ্য সভাপতি এবার মেরে হাড়গোড় ভেঙে দেওয়ার হুঙ্কার ছাড়লেন। তাঁর সাফ কথা, হাত থাকতে মুখে কেন। বিজেপির রথযাত্রায় যাঁরা বাধা হয়ে দাঁড়াবেন, তাঁদের মেরে হাড়গোড় ভেঙে দেব।
বিজেপি রাজ্য সভাপতি এবার মেরে হাড়গোড় ভেঙে দেওয়ার হুঙ্কার ছাড়লেন। তাঁর সাফ কথা, হাত থাকতে মুখে কেন। হুগলির মশাটে এক সভা থেকে দিলীপ ঘোষ বলেন, বিজেপির রথযাত্রায় যাঁরা বাধা হয়ে দাঁড়াবেন, তাঁদের মেরে হাড়গোড় ভেঙে দেব। এর আগে সায়ন্তন বসু বলেন, রথ চালাতে প্রয়োজনে বিজেপি ডান্ডা ধরবে। মাটিতে পুতে দেবে।
কু-কথার রাজনীতিতে বাজার গরম
বিজেপি রথযাত্রার প্রাক্কালে প্রতিদিনই বাজার গরম করছে। একদিন বিজেপি রাজ্য সভাপতি তো, অন্যদিন বিজেপির সাধারণ সম্পাদক। অন্য নেতারাও কম যান না। আর তার সঙ্গে তৃণমূলের অনুব্রত মণ্ডলও লেগে রয়েছেন। প্রতিদিনই কু-কথার বাণ ছাড়ছেন রাজনৈতিক নেতারা। এবার ফের মুখের লাগাম খসিয়ে দিলীপ ঘোষ বললেন, মেরে হাড়গোড় ভেঙে দেব।
দিলীপের আগে সায়ন্তন
একদিন আগে বিজেপি রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু সরাসরি তোপ দেগেছিলেন, বিজেপির রথ আটকাতে পারবে না কেউ। কেউ আটকাতে এলে আমাদের দলের যুবমোর্চার কর্মীরা তাঁদের মাটিতে পুতে দেবে। রথ চালাতে বিজেপি মোর্চার কর্মীরা প্রয়োজনে ডান্ডা ধরবে। পুলিশের কাজ করবেন তাঁরাই।
আগে লাশ ফেলার হুমকি দেন দিলীপ
এর আগেও দিলীপ ঘোষ কু-কথার বাণ ছেড়েছিলেন। উত্তেজক ভাষণ দিয়ে তিনি লাশ ফেলে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন। এবার তিনি বললেন, হাত থাকতে মুখে নয়। তিনি মেরে হাড়গোড় ভেঙে দেওয়ার নিদান দিলেন। তাঁর উত্তেজক ভাষণের পরই ফেরার পথে বিজেপি নেতারা আক্রান্ত হন। গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। আহত হন জয় বন্দ্যোপাধ্যায়।
মমতা-অনুব্রতকেও কু-কথা
শনিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অনুব্রতকে একযোগে আক্রমণ করেছিলেন। তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে পাগলা হাতির সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। আর অনুব্রতকে ছুঁচো ও ব্যাঙ বলেছিলেন। বলেছিলেন, অনুব্রত মণ্ডল তো ওখানে ছুঁচোর কীর্তন করবে। তা ছুঁচোর কীর্তন হোক বা ব্যাঙের, ওসব আমরা বুঝে নেব।