সংখ্যালঘুরাই মারছে, সংখ্যালঘুরাই মরছে তৃণমূলী রাজনীতির জাঁতাকলে, তোপ দিলীপের
রাজ্যে সংখ্যালঘুরাই মারছে, আর সংখ্যালঘুরাই মরছে। এর পিছনে রয়েছে তৃণমূলের হাত। শুধু সিবিআই তদন্ত দাবি বা রাষ্ট্রপতি শাসন নিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেই ক্ষান্ত নন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
রাজ্যে সংখ্যালঘুরাই মারছে, আর সংখ্যালঘুরাই মরছে। এর পিছনে রয়েছে তৃণমূলের হাত। শুধু সিবিআই তদন্ত দাবি বা রাষ্ট্রপতি শাসন নিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেই ক্ষান্ত নন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে আঙুল তুলে সাফ জানালেন, তৃণমূল সংখ্যালঘুদের রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করছে।
সংখ্যালঘুরা তৃণমূলের ঘুঁটি
রবিবার বিজেপির রাজ্য দফতরে সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে গর্জে উঠলেন দিলীপ ঘোষ। উত্তর ২৪ পরগনার ভাটপাড়ায় হিংসার ঘটনার পাশাপাশি রাজ্যের পরিস্থিতি বিচার করে সিবিআই তদন্ত দাবি করে বসলেন। তিনি বলেন, সংখ্যালঘুদের বড়ে হিসেবে ব্যবহার করে রাজ্যের শাসক দল। তাদেরকে ঘুঁটি করে ভোটের কাজে লাগাচ্ছে। হিংসায় তাঁদেরকেই এগিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
ভাটপাড়ার পর বাঁকুড়া
উল্লেখ্য, ভাটপাড়ার পর বাঁকুড়ার পাত্রসায়র উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। বাঁকুড়ায় পুলিশ গুলিতে জখম হয়েছেন এক ছাত্র ও তাদের দলের দুই কর্মী। রাজ্যের জনগণ এই সরকারের উপর থেকে তাদের বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছেন। এ জন্য তিনি মুখ্যমন্ত্রীকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন। তিনি বলেন, দায়িত্বজ্ঞানহীনের মতো আচরণ করছেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পর্যন্ত সামলাতে পারছেন না।
তৃণমূলের নোংরা রাজনীতির জাঁতাকলে
দিলীপবাবু বলেন, এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসার পথ খুঁজতে হবে সংখ্যালঘু সমাজকে। তা না হলে তৃণমূলের নোংরা রাজনীতির জাঁতাকলে তাঁদের শেষ হয়ে যেতে হবে। এবার রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারের সমালোচনা করে তিনি ধর্মীয় তাসও খেলে দিলেন। বিজেপির লক্ষ্য যে শুধু রাজ্যের হিন্দু ভোট নয়, রাজ্যের মুসলিম ভোটও তাদের লক্ষ্য, তাঁর এই কথাতেই স্পষ্ট করলেন দিলীপ ঘোষ।
সিবিআই, ৩৫৬ ধারাও
এদিন ভাটপাড়ায় পুলিশের উপর চড়াও প্রসঙ্গে বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেন, পুলিশকে টার্গেট করা হচ্ছে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ গিয়ে পড়ছে পুলিশের উপর। এই পরিস্থিতির সমাধানেই তো সিবিআই চাইছি। চাইছি কেন্দ্রীয় সংস্থা দিয়ে তদন্ত হোক। তিনি রাষ্ট্রপতি শাসন নিয়েও ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, আমরা নয়, বাংলার মানুষই ৩৫৬ ধারা চাইছেন।