দিলীপ খড়্গহস্ত দলের কর্মীদের উপরই! সভাপতির কু-কথায় পঞ্চায়েতে বিপাকে বিজেপি
‘গুন্ডাদের পর পান্ডা পেটানো’র দাওয়াই, আর ‘ঝান্ডার থেকে ডান্ডা বড় হওয়া দরকার’ জাতীয় ডায়লগ লেগেই ছিল দিলীপবাবুর মুখে। এবার নিজের দলের কর্মীদের উপরই খড়্গহস্ত হলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি।
বিজেপি রাজ্য সভাপতি মাঝে-মধ্যেই রাজ্যের শাসকদলকে কটূ-বাক্যে তোপ দাগেন। তাঁর 'মারের বদলা মারে'র ডায়লগ তো এই ভোটের মুখে হিট। তারপর কখনও 'গুন্ডাদের পর পান্ডা পেটানো'র দাওয়াই, আর 'ঝান্ডার থেকে ডান্ডা বড় হওয়া দরকার' জাতীয় ডায়লগ লেগেই ছিল দিলীপবাবুর মুখে। এবার নিজের দলের কর্মীদের উপরই খড়্গহস্ত হলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি।
পূর্ব মেদিনীপুরের একটি সভায় গিয়ে বিজেপি সমর্থকদের প্রশ্নের মুখে পড়ে মেজাজ হারান দিলীপবাবু। তিনি কর্মীদের উপর ক্ষোভ উগরে দেন। এমনকী তিনি বলেন, তাঁদের দলের মিথ্যাচার চলবে না। এইরকম মিথ্যাচার করা কর্মীদের বিজেপিতে দরকার নেই। তাঁদের জুতোপেটা করে দল থেকে তাড়ানোর বার্তা দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।
পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথির সভায় লোক টানতে লকেট চট্টোপাধ্যায়ের নাম করে প্রচার করা হয়েছিল। মহিলা মোর্চার সভানেত্রী তথা অভিনেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায় আসবেন বলে সভায় ভিড়ও জমেছিল বেশ। ভিড় টানতে লকেটের ছবি ও নাম দিয়ে ব্যানার দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সভায় আসেননি লকেট।
তখন উপস্থিত সমর্থকরা দিলীপবাবুকে প্রশ্ন করেন, লকেট চট্টোপাধ্যায় কেন আসেননি? দলীয় কর্মীদের এমন মিথ্যে প্রচারে বিব্রত বোধ করেন রাজ্য সভাপতি। তিনি তখন সটান নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন করেন- কেন এই মিথ্যে প্রচার করা হয়েছে? আমাকেই বা কেন মিথ্যে কথা বলা হয়েছে?
তিনি তখনই রুদ্রমূর্তি ধারণ করে বলেন, কে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে, তাঁকে দল থেকে সাসপেন্ড করব। জুতোপেটা করে দল থেকে তাড়িয়ে দেব। মনে রাখবেন, বিজেপি একটা ভদ্রলোকের পার্টি। সেখানে মিথ্যাচার চলে না। দিলীপবাবু রুদ্রমূর্তি ধারণ করে তখনকার মতো পরিস্থিতি সামাল দিলেও এলাকার বিজেপি কর্মীরা রাজ্য সভাপতির এই ব্যবহারে ক্ষুব্ধ। ভোটের মুখে দলীয় কর্মীদের ভর্ৎসনা ভালো চোখে নিচ্ছেন না অনেকেই।