বিজেপির টার্গেট মতুয়া-উদ্বাস্তু ভোট, মিশন ২৪শে প্রান্তিক গ্রামগুলিতে জনসংযোগের নির্দেশ মোদীর
২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে দেখা গিয়েছিল অভাবনীয় সাফল্য পেয়েছে বিজেপি। সেইমতো ২০১৯-এর লোকসভাতেও সাফল্য এসেছিল প্রান্তিক কেন্দ্রগুলি থেকে। এবারও সেই একই ফর্মুলা প্রয়োগ করতে চলেছে বিজেপি।
২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে দেখা গিয়েছিল অভাবনীয় সাফল্য পেয়েছে বিজেপি। সেইমতো ২০১৯-এর লোকসভাতেও সাফল্য এসেছিল প্রান্তিক কেন্দ্রগুলি থেকে। এবারও সেই একই ফর্মুলা প্রয়োগ করতে চলেছে বিজেপি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নির্দেশ মতো জনসংযোগে নেমে পড়েছেন বিজেপি নেতারা।
সম্প্রতি জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে ২০২৪-এর লক্ষ্যে কতিপয় নির্দেশিকা দিয়েছেন প্রদানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার মধ্যে একটি হল সীমান্ত এলাকার গ্রাম বা রাজ্যের প্রান্তিক গ্রামগুলিকে টার্গেট করা। সেইমতো রাজ্যের ১০টি সীমান্ত এলাকার গ্রামকে বেছে নিয়েছে বিজেপি। সেখানে জনসংযোগ কর্মসূচি চালানো হবে।
মোদীর নির্দেশ পেয়েই কোচবিহারের শীতলকুচির সীমান্তবর্তী গ্রামে জনসংযোগ কর্মসূচি নিয়েছে বিজেপি। বিজেপির বিধায়র, যুব মোর্চা প্রতিনিধিদের সঙ্গে এই মর্মে জেলা পদাধিকারীরা কথা বলেছেন। একইসঙ্গে তাঁরা জানিয়েছেন, শুধু শীতলকুচিতেই নয়, রাজ্যের সীমান্ত লাগোয়া ১০টি গ্রামে বিজেপি জনসংযোগ কর্মসূচি চালাবে।
জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন সীমান্তবর্তী এলাকার গ্রামে গিয়ে জনসংযোগ বাড়াতে হবে। সেই মতো বহ্গেও ময়দানে নেমে পড়েছে পদ্ম শিবির। কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা গ্রামের মানুষ পাচ্ছেন কি না, পেলেও তাঁরা কী কী সুবিধা পাচ্ছেন, তা জানতে হবে। তাঁরা যাতে কেন্দ্রীয় সুযোগ-সুবিধা সমস্ত কিছু পায় তাঁর বন্দোবস্ত করতে হবে।
সেইমতো সমীন্তবর্তী এলাকায় যাবেন বিজেপির নেতারা। বিজেপির প্রতিনিধি দল গ্রামের মানুষের সঙ্গে কথা বলবে। তারপর সেই সংক্রান্ত রিপোর্ট তৈরি করে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে পাঠানো হবে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিজেপির টার্গেট উদ্বাস্তু ভোট। সেই উদ্বাস্তু ভোটের লক্ষ্যেই বিজেপি সীমান্ত গ্রামগুলিকে বেছে নিয়ে জনসংযোগ করতে চাইছে।
একুশের বিধানসভা ভোটে বিজেপি উদ্বাস্তু ভোট পুরোপুরি কব্জা করতে পারেনি। কিন্তু ২০২৪-এ তা নিজেদের দিকে টানতে বদ্ধপরিকর। উদ্বাস্তু হিন্দুদের মধ্যে একটা বড় অংশ রাজব্ংশী ভোট রয়েছে উত্তরবঙ্গে। আর দক্ষিণবঙ্গে রয়েছে মতুয়া ভোট। সেই ভোটকে নিজেদের করায়ত্ত করতে এখন থেকেই উদ্যোগী বিজেপি।
রাজ্যে মোট ৮৩টি আসনে মতুয়া ভোট বড় ফ্যাক্টর। তার মধ্যে একুশের নির্বাচনে ৫৩টি আসনে জয়লাভ করেছে তৃণমূল। বিজেপি জিতেছে মাত্র ৩০টিতে। উদ্বাস্তু হিন্দুদের মধ্যে অনেকের মনেই সিএএ নিয়ে আশঙ্কা রয়েছে। সেই আশঙ্কা দূর করাও বিজেপির লক্ষ্য। সিএএ নিয়ে আশঙ্কা দূর করে হিন্দুদের মন জয় করার টার্গেট সীমান্তবর্তী গ্রামে জনসংযোগকে হাতিয়ার করছে বিজেপি।
পঞ্চায়েত ভোটে তারা এই সমস্ত গ্রামে কতটা প্রভাব ফেলতে পারে দেখে নিতে চাইছে বিজেপি। তারপরই ২০২৪-এর মহারণ। তাই প্রান্তিক এলাকার মানুষের মন জয় করার প্রয়াস চালিয়ে যেতে হবে। নিরন্তর জনসংযোগ করে যেতে হবে বিজেপি নেতাদের। ২০২৪-এর বোটে রাজনৈতিক লাভ তুলতে গেলে এখন থেকেই শুরু করতে হবে কর্মসূচি।