খড়্গপুরের পুরসভা ভোটে জেতার প্রস্তুতি শুরু বিজেপির
বিধানসভা উপ-নির্বাচনের বিজেপি খড়্গপুরে হারলেও এবার পুরসভা নির্বাচনে জেতার জন্য প্রস্তুতি শুরু করে দিল বিজেপি। পুরসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে শনিবার খড়গপুর শহরে বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষকে নিয়ে একটি বৈঠক করল বিজেপি।
এই বৈঠকে দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন যে তাদের লক্ষ্য পঞ্চাশ শতাংশ ভোট নিশ্চিত করা। এই জন্য ৩৫টি ওয়ার্ডের জন্য একজন করে পর্যবক্ষেক নিয়োগ করার পাশাপাশি নজনকে নিয়ে একটি পরিচালন কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রতিটি ওয়ার্ডে পনেরো জনের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে যারা এলাকার লোকজন, যারা পুরনো বিজেপি কর্মী তাদের নিয়ে বসে ও কথা বলে প্রার্থীকে হবেন তা ঠিক করে নির্বাচন পরিচালন কমিটির ও জেলার নেতৃত্বের কাছে প্রস্তাব পাঠাবে।
দিলীপ ঘোষ বলেন যে তারা এবার পুরসভা নির্বাচনে জেতার জন্য প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন এবং যদি ঠিকমতো নির্বাচন হয় তাহলে বিজেপিই এবার পুরসভা বোর্ড গঠন করবে।" পুরোনো বিজেপি কর্মীদের নিয়েও সবাইকে নিয়ে এই নির্বাচনে লড়াই করবে বিজেপি। যদি ঠিকমতো নির্বাচন হয় তাহলে তৃণমূল কংগ্রেসের আর জেতা হবে না", বলে জানিয়েছেন তিনি।
গত বারের পুরসভা নির্বাচনে বিজেপি সাতটি আসনে জিতলেও পাঁচজন তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। বিধানসভা উপ নির্বাচনের আগে তাদের একজন বিজেপিতে ফিরে আসে। ৩৫ আসনের মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের ১১জন জিতলেও কংগ্রেস ও বামফ্রন্ট থেকে কয়েক জন তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলে বোর্ড গঠন করে তৃণমূল কংগ্রেস।
গত বিধানসভা নির্বাচন ও লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি এই এলাকায় জিতলেও বিধানসভা উপ নির্বাচনের বিজেপি হেরে যায়। তাই এবার এখনও পুরসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণা করা না হলেও জেতাকে পাখির চোখ করে লড়াই করার প্রস্তুতি নিতে শুরু করে দিয়েছে।
এইদিন বিজেপির জেলা সভাপতি শমিত দাস ও খড়্গপুর পুরসভা নির্বাচন পরিচালন কমিটির আহ্বায়ক তুষার মুখার্জি দাবি করেছেন যে গত পুরসভা নির্বাচনে যারা জিতেছিলেন তাদের মধ্যে অন্তত সাতজন এবার বিজেপির প্রতীকে লড়াই করবেন। স্পষ্টতই তাদের ইঙ্গিত, তৃণমূল কংগ্রেসের ও অন্যান্য দলের কাউন্সিলররা এবার বিজেপির প্রতীকে লড়াই করবেন।
তুষার মুখার্জি বলেন, নির্বাচনের নোটিফিকেশন হয়ে যাওয়ার আগে যদি অন্য কোন দলের কাউন্সিলর বিজেপিতে আসে ও প্রার্থী হতে চান তাহলে বিজেপি তা বিবেচনা করে দেখবে।
দিলীপ ঘোষ বলেন যে তারা চাইছেন সন্ত্রাসমুক্ত নির্বাচন করার ব্যবস্থা গ্রহণ করুক নির্বাচন কমিশন। তার আশঙ্কা এই নির্বাচনেও সন্ত্রাস করবে তৃণমূল কংগ্রেস।