বাংলায় আডবাণীর স্টাইলে রথযাত্রা প্রচারে বিজেপি, পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে ঝড় তুলতে কোন জেলা টার্গেট
পঞ্চায়েতের প্রচারে ঝড় তুলতে চাইছে গেরুয়া শিবির। সেই লক্ষ্যেই লালকৃষ্ণ আদবানির উত্তরপ্রদেশে রথযাত্রার মতো বাংলাতেও রথ নিয়ে প্রচারে নামতে চলেছে বিজেপি।
পশ্চিমবঙ্গের হিন্দু ভোটব্যাঙ্ককে টার্গেট করেছে বিজেপি নেতৃত্ব। সবংয়ে ভোটে হারতে হলেও একধাক্কায় কয়েকশো গুণ ভোট বেড়ে গিয়েছে বিজেপি। আর তাই সেটাকেই মাথা করে পঞ্চায়েত ভোটে গ্রাম বাংলায় বিজেপির অবস্থান মজবুত করার লক্ষ্যে নেমে পড়তে চাইছেন বিজেপি নেতারা।
শুধু রাজ্য নেতৃত্বের তরফে দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায় অথবা রাহুল সিনহা নন, বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ও বিভিন্ন প্রদেশের হেভিওয়েটদের নিয়ে এসে রাজ্য জুড়ে পঞ্চায়েতের প্রচারে ঝড় তুলতে চাইছে গেরুয়া শিবির। সেই লক্ষ্যেই লালকৃষ্ণ আদবানির উত্তরপ্রদেশে রথযাত্রার মতো বাংলাতেও রথ নিয়ে প্রচারে নামতে চলেছে বিজেপি।
জানা গিয়েছে, আগামী ১১ জানুয়ারি এই রথযাত্রা শুরু হবে পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘা থেকে। আর শেষ হবে ১৮ জানুয়ারি উত্তরবঙ্গের জেলা কোচবিহারে। মোট ১৫টি জেলা ঘুরে এই যাত্রা দক্ষিণবঙ্গ থেকে উত্তরবঙ্গে শেষ হবে।
বিজেপি নেতৃত্বে মাঝের দিনগুলিতে সভাও করবেন। মোট ৭-৮টি সভা করার কথা রয়েছে। মুর্শিদাবাদ, মালদহের মতো সংখ্যালঘু অধ্যুসিত জেলাগুলিতেও দিলীপ ঘোষ অমিত শাহরা সভা করবেন, ঘুরবেন বলে জানা গিয়েছে।
অমিত শাহ, কৈলাশ বিজয়বর্গীয় থেকে শুরু করে পঞ্চায়েতের প্রচারে আসতে পারেন বড় হেভিওয়েটরা। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, স্মৃতি ইরানি থেকে শুরু করে বড় নেতা-নেত্রীদের এনে সভা করবে বিজেপি। তার আগে রথযাত্রা করে ভোটের উত্তাপ বাড়িয়ে নিতে চাইছে গেরুয়া শিবির।
ঘটনা হল, সিপিএম ও কংগ্রেসের দুর্বল হওয়ায় সেই ফাঁকে বিরোধী শক্তি হিসাবে উত্থান হয়েছে বিজেপির। তবে রাজ্যে এখনও সংগঠন মজবুত নয় দিলীপ ঘোষদের। দুর্বল হলেও সংগঠনের ছাঁচ রয়েছে বামেদের বা কংগ্রেসের। এদিকে বিজেপি সব আসনে প্রার্থী দিতে পারবে কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। পঞ্চায়েতে তাই ক্ষমতাসীন তৃণমূলকে হারাতে বড় বেগ পেতে হবে বিরোধীদের।