মুকুল-দিলীপ-রাহুল মঞ্চে পাশাপাশি, একুশের লক্ষ্যে যে সব ইস্যুতে পথে নামবে বঙ্গ বিজেপি
একুশের দামামা বেজে গিয়েছে। এবার ছন্নছাড়া বিজেপি নেতৃত্বে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর চড়াবে এক হয়ে। মমমতা বন্যোমাপাধ্যায় সরকারের অবসান ঘটাতে এবার জোট বেঁধেছেন মুকুল রায়, দিলীপ ঘোষ এবং রাহুল সিনহা।
একুশের ভোটের দামামা বেজে গিয়েছে। এবার ছন্নছাড়া বিজেপি নেতৃত্বে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর চড়াবে এক হয়ে। মমমতা বন্যোমাপাধ্যায় সরকারের অবসান ঘটাতে এবার জোট বেঁধেছেন মুকুল রায়, দিলীপ ঘোষ এবং রাহুল সিনহা। কৈলাশ বিজয়বর্গীয় ও অরবিন্দ মেননের উপস্থিতিতে তাঁরা এক হয়ে ময়দানে নামার বার্তা দিলেন।
বিজেপির সাংগঠনিক পর্যলোচনা বৈঠক
বিজেপির সাংগঠনিক পর্যলোচনা বৈঠকের প্রথম দিনে বিজেপির তরফে কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, দিল্লিতে প্রথম দফার বৈঠকে ১৩০ আসন নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। এবার বাকি আসনগুলি নিয়ে বৈঠক শুরু হল। এই বৈঠক হচ্ছে দিলীপ ঘোষের রাজারহাটের বাড়িতে। আরও চারদিন চলবে এই বৈঠক।
দিলীপ ঘোষ জানালেন কোন ইস্যু নিয়ে আলোচনা
দিলীপ ঘোষ বলেন, আমরা বেশ কয়েকটি ইস্যুতে আলোচনা করেছি। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের পর আমরা কতটা এগোতে পেরেযি সাংগঠনিকভাবে। কোথায় এগোচ্ছে না তা নিয়ে চর্চা হযেছে। দলের সংগঠন কী করে বাড়ানো যায়, তা নিয়েও কথা হয়েছে। তিনি জানান. রাজ্যে বিরোধিতার অধিকার না থাকলেও বিজেপি লড়ছে।
রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ,প্রকৃত পরির্তনের বার্তা
এই মর্মে বেশ কিছু কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে বিজেপির তরফে। সিদ্ধান্ত হয়েছে, রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করতে হবে। মানুষের আস্থা অর্জন করতে হবে। রাজ্যপালতে গৃহবন্দি করার চেষ্টার বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবর্তনের স্লোগান তুলেছিলেন, কিন্তু কোনও পরিবর্তনই হয়নি। প্রকৃত পরির্তনের বার্তা দেওয়া হবে একযোগে মিছিল থেকে।
সংখ্যালঘু এলাকায় বিজেপির সমস্যা দূরীকরণে
দিলীপ ঘোষ বলেন, সংখ্যালঘু এলাকায় বিজেপির সমস্যা রয়েছে। সমর্থন থাকলেও কেউ সংগঠনের দায়িত্ব নিয়ে রাজি হচ্ছেন না। মানুষের মন থেকে হিংসার ভয় উধাও করে দিতে হবে। তাঁদের পাশে দাঁড়াতে হবে। সোশ্যাল মিডিয়ায় সরকারে বিরুদ্ধে কিছু বললেই মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে, তার বিরুদ্ধে গর্জে উঠতে হবে।
রাজ্যে বিডিও অফিস ঘেরাও কর্মসূচি বিজেপির
দিলীপ বলেন, বিশ্বভারতীয় জমি বাইরের লোকে কব্জা করে নিচ্ছে, তাদের সাহায্য করছে তৃণমূল। এই চক্রান্তের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। রাজ্যে বিজেপির ঐক্যবদ্ধ চেহারা শাসক তৃণমূলের সামনে তুলে ধরতে হবে। রাস্তায় নেমে সম্মিলিত প্রতিবাদ গড়ে তুলতে হবে। ৪ সেপ্টেম্বর রাজ্যের সমস্ত বিডিও অফিস ঘেরাও করা হবে।