
বিজেপির ৬ হেভিওয়েটকে শোকজ করল দল, ভোটের আগে পদ্ম শিবিরে তাপ উত্তাপ তুঙ্গে
বিজেপির প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হতেই বাংলার দিকে দিকে একের পর এক ক্ষোভ বিক্ষোভের ছবি ধরা পড়তে শুরু করে দিয়েছে। বহু জায়গায় প্রার্থীর নাম পছন্দ না হওয়ায় গেরুয়া দলের একাংশের বিক্ষোভে অস্বস্তিতে পড়েছে পদ্ম শিবির। এমন অবস্থায় দলের অন্দরের বিক্ষোভকে কড়া হাতে দমনে ব্রতী পদ্ম ক্যাম্প।

৬ হেভিওয়েটকে শোকজ
দলের নিয়মের ভাঙন কেউ ধরালেই তাঁকে যে শোকজের মুখে পড়তে হতে পারে, তা জিতেন্দ্র তিওয়ারি ইস্যুতে সায়ন্তন বসু থেকে অগ্নিমিত্রা পলদের শোকজন দিয়েই বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব বুঝিয়ে দিয়েছিল। এবার উত্তর দিনাজপুরে বিজেপির ৬ হেভিওয়েটের শোকজের ঘটনা রীতিমতো নজর কড়াতে শুরু করে দিয়েছে।

কেন শোকজ?
জানা গিয়েছে উত্তর দিনাজপুরে বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুরের ঘটনায় বেশ ক্ষুব্ধ বিজেপির একটা বড় অংশ। এদিকে, উত্তর দিনাজপুরে প্রার্থীকে পছন্দ না হওয়ার তাঁর বিরুদ্ধে ক্ষোভ দেখিয়ে পার্টি কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়। তারপরই দলের নিয়ম মেনে শোকজ করা হয়েছে ওই ভাঙচুরের ঘটনার সঙ্গে জড়িত ৬ হেভিওয়েট নেতাকে।

বিজেপি নেতৃত্বের কোন স্ট্র্যাটেজি?
রাজ্যে পঞ্চম ও শেষ দফা নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করতেই রাজ্যের দিকে দিকে বিক্ষোভের আগুন দেখা যায়। পরিস্থিতি দমনে খানিকটা সম ধরে 'ওয়েট অ্যান্ড ওয়াচ' এর রাস্তা ধরে বিজেপির নেতৃত্বের একাংশ। তারপরই শুরু হয়েছে শোকজন নোটিসের পর্ব। বিক্ষোভ খানিকটা থিতু হতেই দলের নিয়মানুবর্তিতার প্রশ্নে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব কড়া হতে শুরু করেছে।

শোকজ নোটিস ও বিজেপি
প্রসঙ্গত, দলীয় কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনায় কারণ জানতে চাওয়া হয়েছে ওই শোকজ নেটিসে। যাঁদের শোকজ করা হয়েছে তাঁরা হলেন কালিয়াগঞ্জের রাণা প্রতাপ ঘোষ, চাকুলিয়ার শম্ঙু মণ্ডল, এছাড়াও রয়েছেন দিলীপ ঋষি, সন্দীপ ভট্টাচার্য, কলীদাস বিশ্বাস, সুভাষ সিংহরা। এঁরা দলীয় কনভেনার। তিনদিনের মধ্যে তাঁদের শোকজনের জবাব দিতে বলা হয়েছে বলে খবর।