দলের শৃঙ্খলাভঙ্গ! সায়ন্তন বসুকে শোকজ করল বিজেপি, ৭ দিনের মধ্যে জবাব তলব
জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে নিয়ে প্রকাশ্যে মন্তব্য করেছিলেন সায়ন্তন বসু। সেটা ভাল ভাবে নেয়নি বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে সায়ন্তন বসুকে শোকজ নোটিস পাঠাল বঙ্গ বিজেপি। ৭ দিনের মধ্যে তাঁকে জবাব দিতে বলা হয়েছে। জিতেন্দ্র তিওয়ারি তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়ার পর সায়ন্তন বসু সাংবাদিক বৈঠক করে বলেছিলেন জিতেন্দ্রকে দলে নেওয়া ঠিক হবে না। এই নিয়ে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলবেন বলে সাংবাদিক বৈঠকে বলেছিলেন তিনি। তাতেই অসন্তুষ্ট হয়েছেন দিলীপ ঘোষ।

সায়ন্তনকে শোকজ
জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে নিয়ে প্রকাশ্যে মন্তব্য করায় জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে সায়ন্তন বসুর উপর প্রবল অসন্তুষ্ট রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সায়ন্তন বসু দলের শৃঙ্খলাভঙ্গ করেছেন বলে মনে করছেন তিনি। তাই সায়ন্তন বসুকে শোকজ নোটিস পাঠাল দল। ৭দিনের মধ্যে তাঁকে জবাব দিতে বলা হয়েছে। সায়ন্তন বসুর জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে নিয়ে মন্তব্যের পর বেশ কিছুটা অস্বস্তিতে পড়েছিলেন দিলীপ ঘোষরা।

জিতেন্দ্রকে নিয়ে সায়ন্তনের মন্তব্য
জিতেন্দ্র তিওয়ারি তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়ার পর তাঁর বিজেপিতে যোগদানের জল্পনা শুরু হয়েছিল। যদিও পরে তিনি সেই জল্পনা উড়িয়ে জানিয়েছিলেন তৃণমূলেই থাকছেন তিনি। তবে আপাতত রাজনীতিতে থাকছেন না। তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়ার পরেই সাংবাদিক বৈঠক করে সায়ন্তন বসু বলেছিলেন, জিতেন্দ্রকে দলে েনওয়া ঠিক হবে না। এই নিয়ে তিনি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলবেন।

জিতেন্দ্রর বিরোধিতায় বাবুল-অগ্নিমিত্রাও
তবে শুধু সায়ন্তন বসু নন জিতেন্দ্রকে নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলেছিলেন আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় ও অগ্নিমিত্রা পল। বাবুল সুপ্রিয়র মধ্যস্থতায় জিতেন্দ্র তৃণমূলের বিরোধিতা করছেন বলে জল্পনা শুরু হয়েছিল। আসানসোলের সাংসদ সেই জল্পনা উড়িতে বলেছিলেন কোনও আন্ডার দ্য টেবিল এগ্রিমেন্ট হয়নি। তাঁর সঙ্গে জিতেন্দ্রর কোনও কথাই হয়নি বলে মন্তব্য করেছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। অন্যদিকে অগ্নিমিত্রা পালও জিতেন্দ্র তিওয়ারির বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন।

তৃণমূলেই জিতেন্দ্র তিওয়ারি
যদিও সব জল্পনার অবসান ঘটিতে জিতেন্দ্র তিওয়ারি তৃণমূল কংগ্রেসে থাকার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। যদিও তাঁর বিজেপিতে যোগদানের জল্পনা বেড়েছিল। পরে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকের পর মানভঞ্জন হয় জিতেন্দ্রর। প্রসঙ্গত আসানসোলের অনুন্নয়নের জন্য রাজ্য সরকারকে দায়ী করে আসোনসোলের পুর প্রশাসকের পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি। তারপরেই দল ছাড়ার কথা ঘোষণা করেন জিতেন্দ্র।

নেতাজিকে সামনে রেখে বিজেপিকে বাদ দিয়ে বৃহত্তর মঞ্চ! ২০২১-এর ভোটের আগে জল্পনা