হাঁসখালি ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম পাঠাচ্ছে বিজেপি, দলে কারা
নদিয়ার হাঁসখালিতে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম পাঠাচ্ছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। এর আগে বগটুই-কাণ্ডেও বিজেপি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম পাঠিয়ে রিপোর্ট সংগ্রহ করেছিল।
নদিয়ার হাঁসখালিতে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম পাঠাচ্ছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। এর আগে বগটুই-কাণ্ডেও বিজেপি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম পাঠিয়ে রিপোর্ট সংগ্রহ করেছিল। এবার হাঁসখালির ঘটনায় পাঁচ সদস্যের টিমে থাকছেন পাঁচ মহিলা নেত্রী। তাঁরা সরেজমিনে রিপোর্ট পেশ করবেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার কাছে।
বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমে থাকছে বিজেপির পাঁচ মহিলা নেত্রী। এই দলে যেমন থাকছেন সাংসদ রেখা বর্মা, তেমনই থাকছেন যোগী আদিত্যনাথ সরকারের ক্যাবিনেট মন্ত্রী বেবিরানি মৌর্য, অভিনেত্রী খুশবু। এবং আরও দুজন মহিলা নেত্রী থাকছেন এই টিমে।
নদিয়ার হাঁসখালিতে ১৪ বছরের কিশোরীকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার পুঙ্খনুপুঙ্খ রিপোর্ট জেপি নাড্ডার কাছে পাঠাবেন তাঁরা। বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম তৈরি করে অবিলম্বে তাঁদের রিপোর্ট পেশ করতে বলেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। তারপর বিজেপি এই ঘটনায় কী অবস্থান নেয়, সেটাই দেখার।
এদিকে হাঁসখালিতে ১৪ বছরের কিশোরীকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হাইকোর্টের সেই নির্দেশের পরে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এদিনই দায়িত্বভার তুলে নিতে পারে। পুলিশ এই ঘটনায় ইতিমধ্যে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। তারপর ফাঁস হয়েছে এক অডিও ক্লিপ। সেখানে শোনা যাচ্ছে রাত সাড়ে আটটা নাগাদ তৃণমূল নেতার ভাগ্নে দীপঙ্কর পোদ্দার ধর্ষণ করেছে ওই কিশোরীকে। তার সঙ্গে আরও এক ব্যক্তি ছিল বলে জানা যাচ্ছে ওই অডিও ক্লিপে। তবে ওই অডিও ক্লিপের সত্যতা যাচাই করা হয়নি বেঙ্গলি ওয়ান ইন্ডিয়ার তরফে। ফোনের কথোপকোথনে স্পষ্ট সেদিন তৃণমূল নেতার ছেলে ব্রজগোপালের জন্মদিনে উপস্থিত ছিলেন ফোনের দু-প্রান্তে থাকা ব্যক্তিরা। তাদের একজনকে বলতে শোনা যায় রাত সাড়ে আটটা নাগাদ মেয়েটিকে ধর্ষণ করে দীপঙ্কর। তার সঙ্গে আরও একজন ছিল। পরে কিশোরীটিকে তার মায়ের কাছে দিয়ে আসা হয়।
এদিকে হাঁসখালির ঘটনায় আটক করা হয়েছে এক দোকানদারকেও। তার বিরুদ্ধে নির্যাতিতাকে মাদক খাওয়ানোর অভিযোগ উঠেছে। নির্যাতিতা কিশোরীকে মাদক খাওয়ানো হয়েছিল, সেই তদন্তে তদন্তে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। স্থানীয় কলাতলা মোড়ে মনোহারি দোকানের মালিক রসময় বিশ্বাস মাদক সরবরাহ করে জানতে পারেন তদন্তকারীরা। তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই ঘটনায় আরও কারা জড়িত, তা জানার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।