সিপিএম হিংসা দুর্নীতির জনক, লালন-পালন করে বড় করছে তৃণমূল, বিস্ফোরক বিজেপি
সিপিএম হিংসা দুর্নীতির জনক, লালন-পালন করে বড় করছে তৃণমূল, বিস্ফোরক বিজেপি
'পঞ্চায়েত আর দুর্নীতি যে একই পয়সার এপিঠ-ওপিঠ। বাম আমলে এলাকায় এলাকায় মানুষের সরকার গঠনের বার্তা দিয়ে যে পঞ্চায়েত ব্যবস্থার পথ চলা শুরু হয়েছিল, অচিরেই তা দুর্নীতিতে ছেয়ে যায়। মানুষের স্বার্থে পঞ্চায়েত ব্যবস্থা চালু রেখে মানুষের হৃদয়ে বাসা বাঁধতে চেয়েছিল বাম সরকার। কিন্তু তা নেতা-নেত্রীরা নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করলে ধুলিসাৎ হয়ে যাবে বামেরা।'
বাম শাসনের শুরুতেই ভবিষ্যদ্বাণী
রাজ্যে বাম শাসনামলে পঞ্চায়েত ব্যবস্থা চালু হওয়ার মুখে এমনই ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন তৎকালীন সিপিএম সম্পাদক প্রমোদ দাশগুপ্ত। প্রথম ও দ্বিতীয় বাম সরকারের আমলে পঞ্চায়েত ব্যবস্থার সাফল্য দেখেছে বাংলার মানুষ। রাজীব গান্ধী যখন প্রধানমন্ত্রী তখন বাংলাকে আদর্শ করে দেশে পঞ্চায়েত রাজ চালু করেছিলেন। সেই সূত্র ধরেই কমিউনিস্টদের দুর্নীতি আর হিংসার জনক বলল বিজেপি।
পঞ্চায়েত ব্যবস্থায় থাবা বসায় দুর্নীতি
এরপর বাম আমলেই পঞ্চায়েত ব্যবস্থা দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়। শাসকের মদতেই যে এই পরিণতি হয়েছিল তা সকলেরই জানা। মানুষের কাছে সরকারকে পৌঁছে দেওয়ার উদ্দেশ্য নিয়ে রোপন করা হয়েছিল এই ব্যবস্থা। কিন্তু কালের নিয়মেই সেই ব্যবস্থায় থাবা বসায় দুর্নীতি।
তৃণমূলের ১০ বছরে দুর্নীতি আরও বেড়েছে
পঞ্চায়েত ব্যবস্থাকে এই দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত কররা দায় এড়াতে পারেন না কমিউনিস্টরা। তৃণমূলের ১০ বছরের রাজপাটে সেই দুর্নীতি আরও বেড়ে গিয়েছে, তা বলাই বাহুল্য। সেই দুর্নীতির স্বার্থেই রাজনৈতিক সন্ত্রাস প্রবল আকার নিয়েছে। তাই ভোটের নামে প্রহসন ঘটিয়ে পঞ্চায়েত দখলের নোংরা খেলাও চলছে রাজ্যে।
হিংসা দুর্নীতির জনক হল সিপিএম
সেই আবহেই করোনা ও আম্ফানের মতো জোড়া বিপর্যয়ের পর রেশন দুর্নীতি, ত্রাণ দুর্নীতি মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। দলবাজি আর সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি হয় গ্রামে গ্রামে। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, আজকে যে হিংসা দুর্নীতি চলছে, তার জনক হল সিপিএম।
দুর্নীতিকে লালন-পালন করেছে তৃণমূল
দিলীপ ঘোষের সঙ্গে একেবারে সহমত বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাশগুপ্তও। তিনি বলেন, আজকে পশ্চিমবঙ্গের যে দুর্দশা, তা ৫০ বছর হতে চলল। আজ আমরা দুর্দশার স্বর্ণজয়ন্তী পালন করছি। এর উৎস হয়েছিল বাম আমলে। এটাকে লালন-পালন করে বাড়িয়ে দিয়েছেন ৯ বছরের তৃণমূল কংগ্রেস সরকার।
বামপন্থা বুঝতে দিলীপ ঘোষদের বহু যুগ লাগবে
বিজেপির এই অভিযোগের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বামেরা। বামফ্রন্ট নেতৃত্বের তরফে মহম্মদ সেলিম বলেন, সব দক্ষিণপন্থীরা কমিউনিস্টদের ভয় পান, সব মিথ্যুকরা ভয় পান, সব সাম্প্রদায়িকরা ভয় পান। সুজন চক্রবর্তী বলেন, বামপন্থা হল মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতা, মানবিকতা ও মনুষ্যত্বের গর্ব নিয়ে চলে। এসব বুঝতে গেলে দিলীপ ঘোষের বহু যুগ লাগবে।
রাজপুতানার রাশ হাতে রাখতে কংগ্রেস বিধায়কদের রিসর্টে রাখার সিদ্ধান্ত হাইকমান্ডের