বিজেপিতে বিদ্রোহ বাড়ছে, এবার সহ সভাপতি ও আহ্বায়কও ছাড়লেন হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ
বিজেপিতে বিদ্রোহ বাড়ছে, এবার সহ সভাপতি ও আহ্বায়কও ছাড়লেন হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ
পুরভোটের আগে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে গণ যোগদান হয় ক-দিন আগে। তারপর ফের অস্বস্তি বাড়ল গেরুয়া শিবিরের অন্দরে। বনগাঁর মতুয়া গড় থেকে যে ঢেউ আছড়ে পড়তে দেখা গিয়েছে, বিজেপিতে ফের সেই হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ ছাড়ার ধুম পড়ে গেল। এবার বারাসত সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি ও আহ্বায়ক বিজেপিক গ্রুপ ছাড়লেন। তাতেই জল্পনা বাড়ল তাঁদের দলবদল নিয়ে।
জেলা বিজেপির দুই শীর্ষনেতা হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ ছাড়লেন
দিন তিনেক আগে বারাসতে প্রায় ৫০০ জন নেতা-কর্মী বিজেপি ছেড়ে যোগ দেন তৃণমূলে। চিকিৎসক থেকে আইনজীবীরা ছিলেন সেই দলে। বিধায়ক চিরঞ্জিতের হাত ধরে তাঁরা যোগদান করেন তৃণমূল। পুরভোটের আগে এই গণ যোগদান মেলার পরই জেলা বিজেপির দুই শীর্ষনেতা হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ ছাড়লেন। বিজেপির দুই নেতা রাজ্য নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন এদিন।
বারাসত সাংগঠনিক জেলায় গ্রুপ ছাড়ার হিড়িক বিজেপিতে
সম্প্রতি বিজেপিতে রদবদল হয়েছে। তাতে য়াঁরা গুরুত্ব পাননি, তাঁরা হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে প্রতিবাদে সামিল হচ্ছেন। সম্প্রতি এই প্রবণতা দেখা গিয়েছে বনগাঁ বিজেপিতে। বনগাঁ বিজেপির চার মতুয়া বিধায়ক ও এবং রানাঘাট বিজেপির এক মতুয়া বিধায়ক অবহেলার প্রতিবাদে হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ ছাড়েন। তা নিয়ে বিতর্ক থামতে না থামতেই বারাসত সাংগঠনিক জেলায় গ্রুপ ছাড়ার হিড়িক পড়ে গেল।
হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে প্রতিবাদী বিজেপি নেতারা
বারাসত বিজেপির জেলা সহ সভাপতি শঙ্কর দাস বলেন, নেতৃত্ব সেভাবে গুরুত্ব দিচ্ছে না। তাই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটছে। এতদিন করোনা পরিস্থিতিতেও মাঠে-ময়দানে নেমে যাঁরা কাজ করল, তাঁরাই গুরুত্ব পাচ্ছে না। সাংগঠনিক রদবদলে তাঁরা গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছেন দলে। তাই হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে প্রতিবাদী হয়েছেন তাঁরা।
হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ ছাড়া নিয়ে নতুন সভাপতির প্রতিক্রিয়া
বারাসত সাংসগঠনিক জেলার আহ্বায়ক অনুপ দাসও হোয়াটস অ্যাপ গ্রপ ছেড়েছেন। তিনি জানিয়েছেন ব্যক্তিগত কারণেই তিনি সরে দাঁড়িয়েছেন। এই জেলার নতুন জেলা সভাপতি তাপস মিত্র বলেন, এই হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ ছাড়া নিয়ে দলের কোনও যোগ নেই। তবে দলে এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে। সমস্যা থাকলে সমাধান করা হবে। তিনি জানান, হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপে না থাকলে দলের কিছু এসে যায় না।
আরও বড় ভাঙন আসতে চলেছে তার আভাস বিদ্রোহে
বিজেপি যেমন বিষয়টিকে হালকা করে দেখার চেষ্টা করছে, তৃণমূলও বিশেষ গুরুত্ব দিতে চাইছে না। তৃণমূলের দাবি, বিজেপির সংগঠন বলে কিছু নেই। তবে বিজেপিতে যে আরও বড় ভাঙন আসতে চলেছে তার আভাস মিলতে শুরু করেছে। বিজেপি বিষয়টিকে হালকা বলে উড়িয়ে দিতে চাইলেও তারা স্বস্তিতে নেই। বনগাঁর পর বাঁকুড়া দুই সাংগঠনিক জেলা, এবার বারাসতেও বিদ্রোহ বাড়ছে।