বিজেপি থেকে বহিষ্কৃত দুই সম্পাদক! একুশে যুদ্ধের আগেই ‘জোর কা ঝটকা’ অনুব্রত-গড়ে
বিজেপি থেকে বহিষ্কৃত দুই সম্পাদক! একুশে যুদ্ধের আগেই ‘জোর কা ঝটকা’ অনুব্রত-গড়ে
২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি থেকে বহিষ্কৃত হলেন প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক। দীর্ঘদিন তিনি অনুব্রত মণ্ডলের জেলায় বিজেপিকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। অবশেষে তাঁকেই সরে যেতে হল বিজেপি থেকে। দলবিরোধী কার্যকলাপের জন্য তাঁকে দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিল বিজেপি। আর বহিষ্কৃত হয়েই বিজেপিকে নিশানা করলেন তিনি।
কালোসোনা মণ্ডলকে ছেঁটে ফেলল বিজেপি
বীরভূম তৃণমূলে যেমন অনুব্রত মণ্ডলের রমরমা, বিজেপিও গুরুত্ব বাড়াতে শুরু করেছিল কালোসোনা মণ্ডলের হাত ধরে। বীরভূমের একাংশে তিনি অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে রাজনীতি করেছিলেন। সেই কালোসোনা মণ্ডলকে এবার ছেঁটে ফেলল বিজেপি। দলবিরোধী কাজের জন্য তাঁকে তিন বছর সাসপেন্ড করা হল।
প্রাক্তন সম্পাদক পলাশ মিত্রও সাসপেন্ড
একা কালোসোনা মণ্ডলই নয়, বিজেপি বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলের প্রাক্তন সম্পাদক পলাশ মিত্রকে। পলাশ মিত্রকে চার বছরের জন্য সাসপেন্ড করেছে বিজেপি। ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই বহিষ্কার বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। বিজেপি যখন বুথে বুথে শক্তি বাড়াতে চাইছে, তখন বিজেপি নেতাকে সাসপেন্ড করে কড়া পদক্ষেপ নিল গেরুয়া শিবির।
বহিষ্কৃত হওয়ার পরই বিজেপিকে একহাত
বিজেপি থেকে সাসপেন্ড হয়েই মুখ খোলেন কালোসোনা। তিনি বিজেপির জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মণ্ডলকে একহাত নেন। বলেন, বিজেপি একটাও সিট পাবে না বীরভূমে। বিজেপি এ্খন বালি মাফিয়া ও তৃণমূলের সঙ্গে হাত ধরাধরি করে লতে চাইছে। আমাকে বনবাসে পাঠিয়ে দিচ্ছে রামায়ণ ও মহাভারতের মতো। কিন্তু কালোসোনা মণ্ডলকে দমিয়ে রাখা যাবে না। সিপিএম, তৃণমূল পারেনি, বিজেপিও পারবে না।
কালোসোনাকে পাল্টা বিজেপির জেলা সভাপতিকে
কালোসোনা মণ্ডলের বিবৃতির পাল্টা দিয়েছেন বিজেপির জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মণ্ডল। তিনি বলেন, বালি মাফিয়া বা তৃণমূলের সঙ্গে আঁতাত রয়েছে বিজেপির, তার প্রমাণ দিক। সবাই জানে কারা এসব কাজ করে বেড়াচ্ছে। উনিও জেলার দায়িত্ব ছিলেন, তখন কটা গ্রাম পঞ্চায়েত, কটা পঞ্চায়েত সমিতিতে বিজেপির প্রতিনিধি ছিল। আর এখন বীরভূমে তৃণমূলের বিরুদ্ধে মাথা তুলে দাঁড়াতে পেরেছে বিজেপি। আমি দায়িত্বে আসার পর তৃণমূল হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে।
বিজেপির অবধারিত হারকেই সূচিত করছে কোন্দল
তৃণমূল কংগ্রেস বিজেপির এই বহিষ্কার প্রসঙ্গে বলেন, এই জেলায় বিজেপির কোনও সংগঠন নেই। বিজেপি বুঝে গিয়েছে বীরভূমে তাদের কোনও জায়গা হবে না। প্রতিটি কেন্দ্রেই হারবে তারা। তাই হতাশা থেকে এসব করে বেড়াচ্ছে বলেই আমাদের মনে হয়। এই যে বিজেপিতে বিজেপিতে কোন্দল হচ্ছে, আসন্ন নির্বাচনে তা বিজেপির অবধারিত হারকেই সূচিত করছে।
মুকুলের যুক্তিতেই মান্যতা বিজেপির! একুশে জয়ের অঙ্ক ভিন্নভাবে কষছেন মোদী-শাহরা