বিজেপির তিন বিধায়ক-সহ বহু নেতা অনুপস্থিত বৈঠকে, দলবদলের জল্পনা মতুয়া-গড়ে
একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই বিজেপিতে বেসুরো হতে শুরু করেছেন অনেক নেতা-নেত্রী, বিধায়ক-সংসদরা। অনেকে রাজ্য নেতৃত্বের বৈঠকে অনুপস্থিত থাকছিলেন। এবার কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বৈঠকেও গরহাজির থাকলেন বিজেপির তিন বিধায়ক উত্তর ২৪ পরগনার সাংগঠনিক সভায় তিন বিধায়কের গরহাজিরা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে।
রেড ভলান্টিয়ারদের টক্কর দিতে মাঠে এবার 'গেরুয়া ভলান্টিয়ার’, জনসংযোগ বৃদ্ধিতেই নয়া কৌশল বিজেপির?

বিধায়কদের অনুপস্থিতিতে অস্বস্তিতে বিজেপি
কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁয় একটি সাংগঠনিক সভা করেন। সেই সভায় বিজেপির একাধিক নেতা অনুপস্থিত ছিলেন। অনুপস্থিতি ছিলেন তিনজন বিধায়ক। তাঁদের এই অনুপস্থিতিতে অস্বস্তিতে পড়েছে বিজেপি। সেইসঙ্গে চর্চা শুরু হয়েছে তাঁদের গরহাজিরার কারণ নিয়ে।

তিন বিধায়ক গরহাজির বিজেপির বৈঠকে, প্রশ্ন
বিধায়ক-সহ নেতাদের অনুপস্থিতিতে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে রাজ্য নেতৃত্বকেও। কেন তাঁরা গরহাজির থাকলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সংগঠনিক সভায়, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছেন। উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয়মন্ত্রী গজেন্ত্র শেখাওয়াতের সভায় অনুপস্থিত ছিলেন উত্তর ২৪ পরগনার বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস, বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়া, গাইঘাটার বিধায়র সুব্রত ঠাকুর।

বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার নেতারও অনুপস্থি্ত
শুধু তিন বিধায়কই নন, বিজেপির এই সাংগঠনিক সভায় গরহাজির ছিলেন বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক দেবদাস মণ্ডল, কল্যাণ সরকার-সহ একাধিক নেতা। তাঁদের অনেকে ব্যাখ্যা দিয়েছেন, কেন তাঁরা আসতে পারেননি, আবার অনেকে নিশ্চুপ থেকেছেন তাঁদরে গরহাজিরা প্রসঙ্গে। অনেকের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।

বিজেপির অন্তর্কলহ, অনেকেই আবার বেসুরো
বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব এই অনুপস্থিতির বিষয়টি সর্বসমক্ষে হালকা করে দেখলেও বেশ অস্বস্তিতে রয়েছে। বনগাঁ সংগঠনিক জেলায় বিজেপির অন্তর্কলহ যে বাড়ছে, তা নিয়ে চিন্তায় রয়েছে বিজেপি। তারপর অনেকেই বেসুরো বাজছেন অনেকদিন। মুকুল-অনুগামী অনেকে বিজেপি ছাড়তে পারেন বলে আশঙ্কা রয়েছে।

বনগাঁ বিজেপি আদতে আড়াআড়ি দু-ভাগ
বনগাঁ বিজেপি আদতে দু-ভাগ। বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের সঙ্গে জেলা সভাপতির বিরোধ মাঝেমধ্যেই প্রকাশ্যে চলে আসছে। তার জেরে একাংশের অনুপস্থিতি বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এক পক্ষ কর্মসূচি স্থির করলে অন্য পক্ষকে দেখা যাচ্ছে না। সম্প্রতি বিজেপির রাজ্য সভাপতির বৈঠকে জেলা সভাপতিকে দেখা গেলেও দেখা যায়নি শান্তনু ঠাকুর ও তাঁর অনুগামীদের।

দ্বিধা-দ্বন্দ্ব দূর করতে মোদী-শাহরা আসছেন না
এদিনও কেন্দ্রীয়মন্ত্রীর বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন শান্তনু ঠাকুরের দাদা গাইঘাটার বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর। স্বভাবতই প্রশ্ন থেকেই যায়। আর বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস তো দীর্ঘদিন ধরেই বেসুরো গাইছেন বিজেপিতে। রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছে, বিশ্বজিৎ দাসের তৃণমূল ঘরওয়াপসি স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। বিজেপি নেতাদের এই কোন্দলে কর্মীরাও বিভ্রান্ত। তাঁরা প্রশ্ন তুলছেন, এখন কেন তাঁদের দ্বিধা-দ্বন্দ্ব দূর করতে মোদী-শাহরা আসছেন না।