
১২ সাংসদের 'সাসপেন্ড' হওয়া নিয়ে স্যোশাল মিডিয়ায় চাঁচাছোলা পোস্ট তথাগতর
সংসদীয় বিধিভঙ্গের জন্য ১২ জন বিরোধী সাংসদকে সাসপেন্ড করেছেন অধ্যক্ষ। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের অভিযোগের ভিত্তিতেই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সাসপেন্ড হওয়া সাংসদদের মধ্যে রয়েছেন তৃণমূল নেত্রী দোলা সেন এবং শান্তা ছেত্রী। এবার গোটা ঘটনা নিয়ে কটাক্ষ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করলেন মেঘালয় ও ত্রিপুরার প্রাক্তন রাজ্যপাল তথাগত রায়।

সোশ্যাল মিডিয়ায় বরাবরই চাঁচাছোলা মন্তব্যের জন্য জনপ্রিয় তথাগত। দোসরা মে বিধানসভা নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পর বিজেপি নেতারাও রেহাই পাননি তাঁর বাক্যবাণের হাত থেকে৷ এবার নিশানা বিরোধী সাংসদরা। মঙ্গলবার তথাগত লেখেন, 'সংসদের রাজ্য সভাকে বলা হয় 'House of Elders'। এখানে প্রবীণ, বিচক্ষণ মানুষেরা বসবেন, যথোচিত গাম্ভীর্যের সঙ্গে বিতর্ক করবেন, এটাই প্রত্যাশিত। সে জায়গায় আমরা দেখছি জনৈক হাতুড়ে মন্ত্রীর হাত থেকে কাগজ ছিনিয়ে নিচ্ছেন, মহিলারা তান্ডব নৃত্য করছেন। ঘৃণায় মন ভরে যায়।'
বিজেপিকে জেতানো অসম্ভব! বিজেপিতে পিকের মাইনে করা কর্মী, ফের বিস্ফোরক তথাগত রায়
২৯ নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন। তবে এর পূর্ববর্তী সেশনের অভিজ্ঞতা কোনওভাবেই সুখকর নয়৷ মার্শালদের সঙ্গে রীতিমতো ধ্বস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েছিলেন বিরোধী সাংসদরা৷ রাজ্যসভার কাঁচ ভেঙে দেওয়ার অভিযোগও ওঠে তাঁদের বিরুদ্ধে৷ এমনকি, কৃষি বিল নিয়ে আলোচনার সময় টেবিলে দাঁড়িয়ে কালো পতাকাও দেখান অনেকে৷
যথারীতি শুরু হয় বিতর্ক। অশান্তির জেরে দু'দিন আগে বর্ষাকালীন অধিবেশন স্থগিত করতে বাধ্য হন অধ্যক্ষ৷ চলে দোষারোপ, পালটা দোষারোপের পালা। কেন্দ্রীয় সরকার, বিরোধী উভয়পক্ষই এই অপ্রীতিকর ঘটনার দোষ দিতে থাকে একে অপরকে৷ সোমবার এই ব্যবহারের জন্যই ২০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছিল। সেই কমিটি রিপোর্ট দেওয়ার পরই সাসপেন্ড করা হয় ১২ জন বিরোধী সাংসদকে৷ ১২ জন সাংসদের মধ্যে কংগ্রেসের পক্ষ থেকেই রয়েছেন ৭ জন। তৃণমূলর দোলা সেন এবং শান্তা ছেত্রী রয়েছেন সেই তালিকাটিতে৷