বঙ্গভঙ্গের আওয়াজ তোলা বিধায়কের বহিষ্কার চাইলেন বিজেপির নির্বাসিত নেতা, জল্পনা
ফের পৃথক রাজ্যের দাবি তুলেছেন বিজেপি বিধায়ক। উত্তরবঙ্গকে নিয়ে পৃথক রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের দাবিতে সরব হওয়ার পাশাপাশি গোর্খাল্যান্ডের জিগিরও তুলে দিয়েছেন।
ফের পৃথক রাজ্যের দাবি তুলেছেন বিজেপি বিধায়ক। উত্তরবঙ্গকে নিয়ে পৃথক রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের দাবিতে সরব হওয়ার পাশাপাশি গোর্খাল্যান্ডের জিগিরও তুলে দিয়েছেন। তিনি জেপি নাড্ডাকে চিঠি লিখে বলেন, পাহাড়ের মানুষের সঙ্গে কথা বলার পর তাঁদের মনোভাব ও আবেগ নিয়েই তিনি পৃথক রাজ্যের দাবি তুলছেন। তারপরই বিজেপির ওই বিধায়ককে বহিষ্কারের দাবি তুলে দিলেন নির্বাসিত এক বিজেপি নেতা।
বিজেপির নির্বাসিত নেতা চন্দ্রশেখর বসোটিয়া বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বকে একহাত নিয়ে বলেন, বাংলা ভাগের কথা বলে দলের অবস্থানকে অগ্রাহ্য করেছেন ওই বিধায়ক। দলীয় অনুশাসনও মানেননি। তিনি আবার শুধু বাংলা ভাগের দাবিতে সরবই হননি, দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাকে চিঠিও লিখেছেন, তাহলে কেন তাঁকে বহিষ্কার করা হবে না।
সম্প্রতি কলকাতা পুরভোটে টিকিট না পেয়ে বিজপি নেতা বিদ্রোহী হয়েছিলেন। তারপরই তাঁকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করার জন্য বহিষ্কার করা হয়। তিনি এবার বিজেপিকে বাগে পেয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়লেন না। চন্দ্রশেখর বলেন, আবার আমাদের একজন বিধায়ক গোর্খাল্যান্ডের দাবি তুলেছেন, উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার দাবিতে সরব হয়েছেন। আমি আমাদের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তীকে বলব, উনিও তে দলের শৃঙ্খলাভঙ্গ করেছেন, ওনাকেও বহিষ্কার করা হোক।
আমাদের দলের ইস্তাহারে লেখা ছিল, বাংলায় যে সমস্ত গোর্খাজাতির মানুষ রয়েছেন, তাঁদের সুবিধা-অসুবিধার কথা ভাবব, কিন্তু কোনওদিন আমরা বাংলা ভাগ হতে দেব না। কিন্তু কার্শিয়াংয়ের বিধায়ক প্রকাশ্যে গোর্খাল্যান্ড বা উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্য করার দাবি তুলেছেন, তাহলে কেন তাঁকে বহিষ্কার করা হবে না। কিছুদিন আগে বিজেপি সাংসদ বাংলা ভাগের দাবি করেছিলেন। তাঁকে শোকজও করা হয়নি। উল্টে তিনি এখন মন্ত্রী হয়ে গিয়েছেন।
চন্দ্রশেখরের দাবি, আমি দলের পূর্ণ কর্মী। তিনি কোনও লবি করেন না। তারপরও তাঁকে বহিষ্কার করা হয়েছে। শুধু উচিত কথা বলার জন্য তাঁকে দল সাসপেন্ড করেছে। অথচ প্রকাশ্যে দলের অবস্থানের বিরোধিতা করা সত্ত্বেও অনেকে বহাল তবিয়তে পার্টিতে রয়ে গিয়েছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থাই নেওয়া হয়নি। কেন এই দ্বিচারিতা, প্রশ্ন তোলেন তিনি।
উল্লেখ্য, চন্দ্রশেখর বসোটিয়া অভিযোগ করেছিলেন, টাকার বিনিময়ে কলকাতা পুরসভায় টিকিট দিয়েছে বিজেপি। তিনি সদর দফতরে গিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, আমার দুর্ভাগ্য যে আমি বড় নেতাদের বাড়িতে গিয়ে দালালি করতে পারি না। যাঁরা এসব পারে, অন্য দল থেকে এলেও তাদের টিকিট দেওয়া হয়।