তৃণমূলের কুঁড়েঘরে থাকা মুখ্যমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ দিলীপের! ‘স্বপ্নে বিভোর’ ১২ কামরার মালিক
তৃণমূলের কুঁড়েঘরে থাকা মুখ্যমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ দিলীপের! ১২ ঘরের মালিক ‘স্বপ্নে বিভোর’
বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এখন মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। সেই স্বপ্নকে আশ্রয় করেই কি তিনি রাজারহাটের বিলাসবহুল ফ্ল্যাটে চলে গেলেন? ২০২১-এর ভোটের আগে তাঁর এই পদক্ষেপ নিয়ে চর্চা চলছে রাজনৈতিক মহলে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী যখন কুঁড়ে ঘরে থেকে বাংলাকে শাসন করছেন, তখন তাঁর চ্যালেঞ্জার হিসেবে দিলীপ এখন ১২ কামরার মালিক।
কুঁড়িঘর থেকে রাজকীয় আবাসনে দিলীপ
শৈশবকালে তাঁর কেটেছে কুঁড়িঘরে। তারপর সল্টলেক অঞ্চলে ভাড়া থাকা শুরু করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। রাজ্য সভাপতি হওয়ার পর তিনি সল্টলেকের ঘরে এসেছিলেন। এখন ২০২১ বিধানসভার ভোট পরিচালনার জন্য তিনি উটে গেলেন সল্টলেক থেকে রাজরহাটে একটি চার হাজার বর্গফুট আয়তনের বড় অ্যাপার্টমেন্টে।
দিলীপের ১২ ঘর নিয়ে আগ্রহ তুঙ্গে
তাঁর এই নতুন ঠিকানাটি বিমানবন্দরের ১০ মিনিটের মধ্যে রাজারহাট-নিউ টাউন এলাকায়। এই অ্যাপার্টমেন্টের চারটি থ্রি-বিএইচকে ফ্ল্যাট নিয়েছেন তিনি। অর্থাৎ মোট ১২টি কক্ষ এবং একাধিক রান্নাঘর-সহযোগে এই বাড়ি। একা দিলীপ এতবড় বাড়িতে কী করবেন, তা নিয়ে আগ্রহ ছিল তুঙ্গে। তিনি জানান, অ্যাপার্টমেন্টটি একজন ব্যবসায়ীর উপহার।
কারা থাকবেন এই ১২ কক্ষের ফ্ল্যাটে
দিলীপ ঘোষ জানান, তাঁর আগের আবাসনটি তিনতলা। ওই বাড়িতে ২০ জন নিরাপত্তারক্ষীর থাকার জায়গা সঙ্কুচিত ছিল। বর্তমান অ্যাপার্টমেন্টের বেশ কয়েকটি কক্ষ তাঁদের থাকার জন্য ব্যবহার করা হবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় দিলীপ ঘোষের সুরক্ষা কবচ সম্প্রতি বাড়িয়েছে। ২০১৯ সালে ওয়াই থেকে বেড়ে জেড ক্যাটাগরিতে পৌঁছে গিয়েছে তাঁর নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
দিলীপের অ্যাপার্টমেন্ট ঘিরে বিজেপির ভাবনা
বিজেপি রাজ্য সভাপতি তাই তাঁর রক্ষী এবং দলীয় নেতাদের থাকার উপযুক্ত একটি ঘর নিলেন। সেখানে থাকার ব্যবস্থা ও খাবারের জায়গা ছাড়াও হলটি গুরুত্বপূর্ণ এই কারণে যে, এখানে পার্টির সভার জন্য একটি বড় সম্মেলন কক্ষ রয়েছে। কেননা মধ্য কলকাতায় বিজেপির সদর দফতর জটিল। এই আবাসনের সর্বাধিক সুবিধা হ'ল এটি বিমানবন্দরের নিকটবর্তী। তাই কেন্দ্রীয় নেতাদেরও বিশেষ সুবিধা হবে।
রাজ্য অফিসে যখন করোনার থাবা
বিজেপির সদর দফতরে স্থান সঙ্কুলানের সমস্যা হওয়ায় দিলীপ ঘোষ এবং মুকুল রায়রা তাদের বাড়ি থেকে কাজ শুরু করেছিলেন। মুকুল রায় আগেই ঘোষণা করেছিলেন তিনি রাজ্য অফিসে যাবেন না। সল্টলেকে আলাদা অফিসে থেকে তিনি কাজ করবেন। উল্লেখ্য, প্রধান কার্যালয়েই দলের সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়, দলীয় কর্মীর কাছ থেকে ভাইরাস সংক্রমিত হয়েছিলেন। দলীয় কার্যালয়টি বন্ধ করে স্যানিটাইজ করা হয়েছিল। পরিস্থিতি এখন যেমন দাঁড়িয়েছে যে সবাইকে পৃথক পৃথকভাবে বাড়ি থেকে কাজ করতে হচ্ছে।
অমিত শাহও থাকবেন দিলীপের ফ্ল্যাটে
দিলীপ ঘোষের অ্যাপার্টমেন্টটি অভ্যন্তর ডিজাইন করা হচ্ছে। বিজেপির দুই নম্বর ব্যক্তি অমিত শাহ এই অ্যাপার্টমেন্টের কয়েকটি কক্ষে থাকতে পারেন। বিধানসভা নির্বাচনের লক্ষ্যে অমিত শাহ মাসে সাত থেকে দশ দিন বাংলায় যাচ্ছেন। তাই বাংলাকে পাথির চোখ করেই এই অ্যাপার্টমেন্ট সেজে উটছে। দিলীপ ঘোষকে ভবিষ্যতের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে দেখতে শুরু করেছেন বিজেপি নেতাদের একটি অংশ।
চাকরির দেওয়ার নামে তোলা হয়েছে কোটি কোটি টাকা! বিস্ফোরক তৃণমূল বিধায়কের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় জল্পনা