মমতা সিঙ্গাপুর থেকে এনেছেন সিঙ্গাপুরী কলা! রাজ্যে তিন ধরনের তৃণমূল নেতা, ব্যাখ্যা করলেন সায়ন্তন
রাজ্যে গত নয় বছরে শিল্পস্থাপন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চড়া আক্রমণ করলেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু। কটাক্ষ করে তিনি বলেছেন, সরকারি পয়সা খরচ করে সিঙ্গাপুরে গিয়ে তিনি সিঙ্গাপুরী করা এনেছে
রাজ্যে গত নয় বছরে শিল্পস্থাপন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চড়া আক্রমণ করলেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু। কটাক্ষ করে তিনি বলেছেন, সরকারি পয়সা খরচ করে সিঙ্গাপুরে গিয়ে তিনি সিঙ্গাপুরী কলা এনেছেন। রাজ্যে উন্নয়নের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তার কোনওটাই হয়নি বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
রাজ্যে উন্নয়ন হয়নি
সায়ন্তন বসু বলেছেন, ক্ষমতায় আসার আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন কলকাতাকে লন্ডন বানাবেন, দার্জিলিংকে সুইৎজারল্যান্ড বানাবেন। তাঁর প্রশ্ন এই নয়বছর সময় একটা হোটেল কি সেভাবে হয়েছে রাজ্যে।
বন্ধ হয়েছে একের পর এক কারখানা
সায়ন্তন বসুর অভিযোগ এই সরকারের আমলে রাজ্যে বড় কারখানা বন্ধ হয়েছে। হিন্দমোটরের অ্যাম্বাসাডর, হাওড়ায় এশিয়ান পেন্টস-এর রং-এর কারখানা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ডানলপের টায়ারের কারখানা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। দমদমের জেসপ তৃণমূল বন্ধ করে দিয়েছে। এই চার কারখানায় হাজার হাজার শ্রমিক কাজ করতেন, বলে জানিয়েছেন সায়ন্তন বসু। যেসব শিল্প তৃণমূল বন্ধ করেছে, তার অর্ধেক টাকার শিল্প তৃণমূল আনতে পারেনি।
কমিটি তৈরির জন্য কমিটি
বর্তমানে করোনা মোকাবিলায় কমিটি তৈরি নয়। এর আগেও একাধিক কমিটি তৈরির কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এপ্রসঙ্গে সায়ন্তন বসু বলেন, কমিটি তৈরির জন্য কমিটি গঠন করা হয়েছে। এইধরনের কমিটি গঠনকে নাটক বলেও কটাক্ষ করেন তিনি।
রাজ্যে লুটের রাজত্ব চলছে
সায়ন্তন বসুর অভিযোগ রাজ্যে লুটের রাজত্ব চলছে। কেন্দ্রের তরফে পাঁচ কেজি খাদ্যশস্য বিনা পয়সায় দিয়েছে ভারত সরকার। এছাড়াও এককেজি ডালের ব্যবস্থাও করেছে ভারত সরকার। এই পরিস্থিতিতে কেন সেই খাদ্যশস্য বিনা পয়সায় মানুষের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে না পশ্চিমবঙ্গ সরকার। প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। তৃণমূলের জনপ্রতিনিধি ও নেতারা রেশনের খাদ্যশস্য লুট দেবতা সাজার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। পাশাপাশি এই খাদ্যশস্যই এক শ্রেণির তৃণমূল নেতারা খোলাবাজারে ও অপর এক শ্রেণির নেতারা কালো বাজারে বিক্রি করছে। তৃণমূল নেত্রী জানেন। কিন্তু ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা নেই। কেননা বেশি চাপ দিলে দলটাই উঠে যাবে।