কৃষি আইন নিয়ে উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি! বিধানসভায় প্রস্তাব পেশের আগে খুলল তৃণমূলের মুখোশ
আজ কৃষি আইন বিরোধী প্রস্তাব পাস করানো হবে বিধানসভায়। অধিবেশন শুরু হলেই প্রস্তাব পেশের নোটিস জারি করা হবে। তবে কোনও দলই এখনও রাজ্য সরকারের এই প্রস্তাব পেশের সিদ্ধান্তে আপত্তি জানানো হয়নি। সেকথা জানিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। উল্লেখ্য, দিল্লির কৃষক আন্দোলন নিয়ে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে এর আগে একাধিকবার সুর চড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

স্বাস্থ্যসাথী ভোটসাথীতে রূপান্তরিত হয়েছে
এই পরিস্থিতিতেই বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে একাধিক ইস্যুতে রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করলেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য৷ এর মধ্যে কৃষি এবং স্বাস্থ্য সাথঈ কার্ড প্রসঙ্গও ছিল। রাজ্যের স্বাস্থ্যসাথী কার্ডকে তিনি ভোটসাথী বলে কটাক্ষ করেন৷ বলেন, 'রাজ্য সরকারের এখন যে স্বাস্থ্যসাথী সেটা ভোটসাথীতে রূপান্তরিত হয়েছে৷ বিধানসভা ভোটের পরে সেটা আমরা আয়ূষ্মানে পরিণত করব৷'

বিধানসভায় রাজ্যপালের পদমর্যাদার অবমাননা
তিনি আরও বলেন, 'বিধানসভায় রাজ্যপালের পদমর্যাদার অবমাননা করা হয়েছে। অধিবেশন শুরুর আগে রাজ্যপালের ভাষণ দেয়া উচিত ছিল। কৃষি আইনের বিপক্ষে প্রস্তাব আনার অধিকার রাজ্য সরকারের নেই।' বিজেপির সাংবাদিক বৈঠকে বক্তব্য রাখার সময় রাজ্যের কৃষকদের প্রসঙ্গও তুলে ধরেন শমীক ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, 'রাজ্যে বিভিন্নভাবে চুক্তি চাষ চলছে।'

চুক্তি চাষ নিয়ে শমীকের তোপ
শমীক ভট্টাচার্যের কথায়, 'রাজ্যে যেভাবে চুক্তি চাষ চলছে, কেন্দ্রীয় সরকার সেটাকে চায় একটি অরগানাইজ ও ডিসিপ্লিন ওয়েতে নিয়ে আসতে। যাতে কৃষকরা লাভবান হন। যাতে কৃষকের নিজের জমির উপর অধিকার থাকবে। তাঁর জমির সুরক্ষা তিনি পেতে পারবেন। ১৯৭৪ সালে সিদ্ধার্থশঙ্কর রায়ের জমানায় সিএডিসি তৈরি হয়েছিল। এই সরকার গত ১০ বছরে সেই আইনকে ভালোভাবে কাজে লাগাতে পারেনি।'

বিধানসভা অধিবেশনে কৃষি আইন বিরোধী প্রস্তাব পেশ
উল্লেখ্য, বিধানসভা অধিবেশনে কৃষি আইন বিরোধী প্রস্তাব পেশ করতে চলেছে মমতা সরকার। আগেই সেকথা জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। প্রথম থেকে কৃষি আইনের বিরোধিতায় মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কৃষক আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছেন তিনি। তারপরেই কৃষি আইনের বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাশ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এখনও পর্যন্ত এর বিরোধিতা করেননি বিরোধীরা। তবে বাম-কংগ্রেসের দাবি রাজ্যের চুক্তি চাষের আইনটিও বাতিল করতে হবে।