এবার দাদার পুলিশে ভোট! প্রশাসনকে আক্রমণ করতে 'শোলে'র ডায়লগ হাতিয়ার বিজেপির রাজুর
উত্তরবঙ্গ ছাড়াও ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে( bjp) আসন বাড়াতে সাহায্য করেছিল জঙ্গলমহল। তার মধ্যে ছিল পুরুলিয়া আসনটিও। সেই পুরুলিয়া থেকেই তৃণমূলের পাশাপাশি রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন, বিজেপির রাঢ়বঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় (raju banerjee) ।

তৃণমূলের হয়ে কাজ করছে পুলিশ
পুরুলিয়ার মানবাজারে রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, এক শ্রেণির পুলিশ তৃণমূলের হয়ে কাজ করছে। তাঁর প্রশ্ন এইসব পুলিশকে থানায় রেখে লাভটা কী হবে। বিজেপি ক্ষমতায় এলে তাঁদেরকে থানা থেকে তুলে নিয়ে জুতো চাটানো হবে। তিনি অভিযোগ করেন, রাজ্যে একলক্ষ আশি হাজার মিথ্যা মামলা করেছে পুলিশ। তিনি বলেন, বিজেপির ক্ষমতায় আসার পর মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকেই সব মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে।

শোলের ডায়লগ অনুসরণ
সভায় শোলের ডায়লগ অনুসরণ করেন রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন পুলিশ আর গুণ্ডা, তেরা কেয়া হোগা কালিয়া? তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, যারা ভাবছে ভোট লুট করবে, তারা জেনে রাখুন এবারের ভোট দিদির পুলিশ দিয়ে নয়, দাদার পুলিশ দিয়ে হবে।

পাখির চোখ মানবাজার
পুরুলিয়ার মানবাজার রাজ্যের মন্ত্রী সন্ধ্যারানি টুডুর কেন্দ্র। পুরুলিয়া লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত সেই কেন্দ্র থেকে গত লোকসভা নির্বাচনে লিড নিতে পারেনি বিজেপি। সেই কারণে গোটা পুরুলিয়া জেলার সঙ্গে এই কেন্দ্রকে পাখির চোখ করেছে গেরুয়া শিবির।
যদিও বিজেপির কর্মসূচিকে গুরুত্ব দিতে রাজি নয় তৃণমূল। জেলা তৃণমূল সভাপতি গুরুপদ টুডুও এই মানবাজারের বাসিন্দা। মানবাজার তৃণমূলের গড়, উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, এই এলাকার মানুষ ঘাসফুল এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া কিছু বোধে না। তাই বাইরের থেকে নেতা এনে কোনও লাভ হবে না।

এর আগেও বেলাগাম রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়
এর আগেও বেলাগাম হতে দেখা গিয়েছে রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বীরভূমে গিয়ে তিনি সেই জেলা কাশ্মীরের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। অনুব্রত মণ্ডলকে আক্রমণ করে তিনি বলেছিলেন এই সব নেতার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড কিংবা ফাঁসির সাজা হওয়া উচিত। অনুব্রত মণ্ডল উত্তর প্রদেশের বিকাশ দুবে হয়ে যেতে পারেন বলেও মন্তব্য করেছিলেন রাজু। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলায় জামতাড়া গ্যাং-এর নেতৃত্বে রয়েছেন বলে মন্তব্য করেছিলেন তিনি। জামুড়িয়ার তৃণমূল বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে মাফিয়া ডন বলে উল্লেখ করেছিলেন তিনি।
বাঁকুড়ায় তর্পণের মঞ্চ ভাঙা প্রসঙ্গে পুলিশকে হুঁশিয়ারি দিতে গিয়ে তিনি বলেছিলেন, পুলিশের উর্দি খুলে নেওয়া হবে। অগাস্ট ও সেপ্টেম্বরে, জামুড়িয়া ও আসানসোলের দুটি সভা থেকে পুলিশকর্মীদের জুতো চাটানার কথা বলেছিলেন বিজেপি নেতা রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়। পুলিশের পরিবারকেও দেখে নেওয়ার হুঁশিয়ারি শোনা গিয়েছিল তাঁর মুখ থেকে। এর জেরে দুই থানায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হয়।
সাংবিধানিক নিয়ম অনুসরণ করে আইনের শাসন মানুন! সংবিধান দিবসে মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা রাজ্যপালের