কেন্দ্রের অতিরিক্ত বরাদ্দ গেল কোথায়, মমতার বিরুদ্ধে গরিব মানুষকে বঞ্চিত করার অভিযোগ রাহুলের
দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। বিজেপি নেতা রাহুল সিনহার অভিযোগ এইসব আক্রান্তদের মধ্যে সিংহভাগই দিল্লির নিজামুদ্দিন থেকে সংক্রমিত।
দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। বিজেপি নেতা রাহুল সিনহার অভিযোগ এইসব আক্রান্তদের মধ্যে সিংহভাগই দিল্লির নিজামুদ্দিন থেকে সংক্রমিত। তারা লকডাউন ভেঙে দিল্লিতে জমায়েত করেছিল বলে অভিযোগ রাহুল সিনহার। নিজামুদ্দিন থেকে সংক্রমণের ঘটনা না ঘটলে আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটাই কম হত বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
আইন না মেনে সংক্রমণ ছড়ানোর চেষ্টা
রাহুল সিনহা অভিযোগ করেছেন, আইন না মেনে সংক্রমণ ছড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। কলকাতার মধ্যে রাজাবাজার, নারকেলডাঙা, মেটিয়াবুরুজ, একবালপুর, গার্ডেনরিচে সব থেকে বেশি লকডাউনকে অমান্য করা হচ্ছে। এইসব এলাকায় লকডাউনের কিছুই দেখা যাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। এব্যাপারে সরকার নির্বিকার বলেও অভিযোগ রাহুল সিনহার।
সরকার কি করোনা নিয়েও রাজনীতি করবে, প্রশ্ন রাহুলের
রাহুল সিনহার প্রশ্ন, সরকার কি করোনা পরিস্থিতি নিয়েও রাজনীতি করবে। তাঁর অভিযোগ সরকারের প্রশ্রয়েই আরও বিভিন্ন এলাকায় লকডাউনের প্রভাব কমতে শুরু করেছে। লকডাউন মানার মতো মানার দরকার বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। লকডাউন লাগু করা নিয়ে প্রশাসনের মধ্যেই গা ছাড়া ভাব রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
তথ্য গোপন করে সংক্রমণ রোখা যাবে না
রাহুল সিনহা বলেন, তথ্য গোপন করে সংক্রমণকে রোখা যাবে না। একদিন না একদিন সেটা বাইরে চলে আসবেই বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
রেশন দোকান থেকে মাল লুটের অভিযোগ
খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে রেশন ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের দেওয়া একটি চিঠি দেখিয়ে তিনি বলেন, জায়গায় জায়গায় তৃণমূলের নেতারা রেশন দোকানের মাল লুট করে বিলি করছেন। যে কারণে গরিব লোক রেশন থেকে মাল পাচ্ছেন না।
রেশনে অতিরিক্ত বরাদ্দ গেল কোথায়, প্রশ্ন রাহুলের
রাহুল সিনহা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী পরিস্থিতির মোকাবিলায় রেশন দোকান থেকে অতিরিক্ত খাদ্যশস্য দেওয়ার কথা জানিয়েছেন। অতিরিক্ত ৫ কেজি চাল, ৫ কেজি গম ও এক কেজি ডাল দেওয়া কথা বলেছিলেন। কিন্তু রাজ্যের বেশিরভাগ জায়গায় তা পাওয়া যাচ্ছে না। সেই অতিরিক্ত বরাদ্দ গেল কোথায় প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
গরিব মানুষকে বঞ্চিত করার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষমা চাওয়া উচিত
রাহুল সিনহার অভিযোগ রাজ্য সরকার আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প থেকে নিজেদেরকে সরিয়ে নেওয়ায় বঞ্চিত হচ্ছেন গরিব মানুষরা। সেই কারণে মুখ্যমন্ত্রী উচিত ক্ষমা চাওয়া।