সরকারি আধিকারিকদের নির্দেশ দিল প্রশান্ত কুমারের সংস্থা! বিজেপির অভিযোগে তোলপাড় রাজ্য
সরকারি অফিসে বসে সরকারি আধিকারিকদের নির্দেশ দিচ্ছে তৃণমূলের নির্বাচনী স্ট্র্যাটেজিস্ট প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা। এদিন এমনটাই অভিযোগ করল রাজ্য বিজেপি।
সরকারি অফিসে বসে সরকারি আধিকারিকদের নির্দেশ দিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসের নির্বাচনী স্ট্র্যাটেজিস্ট প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা। রবিবার এমনটাই অভিযোগ করল রাজ্য বিজেপি। যদিও তৃণমূল কংগ্রেস কিংবা প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আইপ্যাক এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
সরকারি অফিসে বসে আধিকারিককে নির্দেশের অভিযোগ
এক সর্বভারতীয় দৈনিকে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, প্রশান্ত কিশোরের সংস্থার কর্মীরা সরকারি অফিসে গিয়ে আধিকারিককে নির্দেশ দেন। কিন্তু সেই আধিকারিক ওই নির্দেশ মানতে চাননি। এরপর এক আইএএস এবং এক ডব্লুবিসিএস আধিকারিককে বদলে করে দেওয়া হয়।
প্রশান্ত কিশোরের পরামর্শে তৃণমূলের 'দিদিকে বলো
লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের আসন সংখ্যা একধাক্কায় অনেকটা কমে যায়। এরপরেই প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা ইন্ডিয়ান পলিটিক্যাল অ্যাকশন কমিটিকে নিয়োগ করে তৃণমূল কংগ্রেস। তাদের পরামর্শেই 'দিদিকে বলো' হেল্পলাইন নম্বর এবং ওয়েবসাইট চালু করে তারা। সরাসরি সাধারণ মানুষের থেকে অভিযোগ এবং পরামর্শ পেতেই এই উদ্যোগ।
রাহুল সিনহার অভিযোগ
বিজেপির জাতীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা এদিন দাবি করেন প্রশান্ত কিশোর এবং তাঁর দলের সদস্যরা সরকারি অফিসে যাচ্ছেন। সরকারি আধিকারিকদের তারা নির্দেশও দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন রাহুল সিনহা। এটা বিপজ্জনক পদক্ষেপ। যা কখনই গ্রহণযোগ্য নয় বলে জানান রাহুল সিনহা। তিনি বলেন, তৃণমূল টাকা খরচ করে প্রশান্ত কিশোরকে নিয়োগ করেছে, তাতে তাদের কোনও অসুবিধা নেই। তৃণমূল একটা ডুহবন্ত জাহাজ বলেও কটাক্ষ করেন রাহুল সিনহা। তাতে প্রশান্ত কিশোর কেন, কোন পোল স্ট্র্যাটেজিস্ট কোনও কিছুই করতে পারবেন না বলেও দাবি করেন তিনি।
অভিযোগ ওড়াল তৃণমূল ও আইপ্যাক
যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। বিষয়টি ভিত্তিহীন বলেও দাবি করেছেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, প্রকাশিত রিপোর্ট এবং বিজেপির অভিযোগ, দুটোই ভিত্তিহীন। প্রশান্ত কিশোরের সংস্থার তরপরফে থেকেও বিজেপির অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।