একেই ভাঙন রুখতে ব্যর্থ, ফের আসছেন অভিষেক! ভোটে জিতেও প্রমাদ গুণছে বিজেপি
নির্বাচনের জিতেও বোধহয় শেষ রক্ষা হল না বিজেপির! পুরুলিয়ার বলরামপুরে তৃণমূল কংগ্রেসের যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার আগে প্রমাদ গুণছে জেলা বিজেপি নেতৃত্ব।
নির্বাচনের জিতেও বোধহয় শেষ রক্ষা হল না বিজেপির! পুরুলিয়ার বলরামপুরে তৃণমূল কংগ্রেসের যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার আগে প্রমাদ গুণছে জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। তৃণমূল কংগ্রেস প্রচার করেছে, শুক্রবারের এই সভাতেই চমক রয়েছে। সেই চমকের অপেক্ষাতেই বিজেপি ভিতরে ভিতরে ত্রস্ত।
জেলা তৃণমূলের দাবি, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার দিনই বলরামপুর পঞ্চায়েত সমিতির দখল তৃণমূলের হাতে আসবে। অন্তত সাতজন পঞ্চায়েত সমিতি সদস্য ওইদিন বিজেপি ছেড়ে যোগ দিতে পারেন তৃণমূল কংগ্রেসে। তাহলেই পঞ্চায়েত সমিতিতে বোর্ড গঠনের ব্যাপারে এক ধাপ এগিয়ে যাবে তৃণমূল কংগ্রেস।
বিজেপির দাবি, তাদের সদস্যরা কেউই দল ছাড়বেন না। কেউ তৃণমূলে যাবেন না। বিজেপির জেলা নেতৃত্ব এই সম্ভাবনার কথা একেবারে উড়িয়ে দিলেও, স্থানীয় নেতৃত্বের কথায়, একসঙ্গে এতজন যেতে পারে না তৃণমূলে। তবে পুলিশকে দিয়ে ভয় দেখিয়ে আমাদের দলের সদস্যদের শাসকদলে যোগ দেওয়ানোর একটা চেষ্টা চলছে।
বিজেপি বলরামপুর নিয়ে আত্মবিশ্বাসী হলেও, নিত্যদিন দলের ভাঙন ঘটছে, ঠেকাতে পারছে না নেতৃত্ব। রঘুনাথপুরের বিজেপি টিকিটে পঞ্চায়েত সমিতিতে জয়ী সীমা বাউড়ি, জেলা পরিষদে জয়ী বিজেপি সদস্যা লিপিকা বন্দ্যোপাধ্যায়রা যোগ দিয়েছেন তৃণমূল। ঝালদার দড়দা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজয় লায়া এ বিলাসীবালা রুইদাসও যোগ দিয়েছেন শাসকদলে।
এবার পুরুলিয়ার বলরামপুর পঞ্চায়েত সমিতির সাতজন সদস্য রয়েছেন লাইনে। শুক্রবার অভিষেকের সভায় তাঁদের যোগদানের সম্ভাবনা রয়েছে। তৃণমূল জেলা নেতৃত্বের কথায়, আমরা শুধু বলরামপুর পঞ্চায়েত সমিতিই নয়, বিজেপির দখলে থাকা কয়েকটি গ্রাম পঞ্চায়েতও দখল করব। এ প্রসঙ্গে তৃণমূল জেলা সভাপতি শান্তিরাম মাহাতো বলেন, আমাদের কাছে আগে উন্নয়ন পরে রাজনীতি। যারা উন্নয়ন চেয়ে আমাদের দলে আসতে চাইছেন, তাদের আমরা সাদরে গ্রহণ করছি।
উল্লেখ্য, বলরামপুর পঞ্চায়েত সমিতির মোট ২০টি আসন। তার মধ্যে ১৭টিতে জেতে বিজেপি আর তিনটিতে জেতে তৃণমূল। এই অবস্থায় বিজেপির সাতজন তৃণমূলে যোগ দিলে দুই দলেরই সংখ্যা হবে ১০-১০। সংখ্যা গরিষ্ঠতা পেতে হলে একটি আসন কম পড়বে। তবে সাতজনের যোগদানে অবশ্যই অ্যাডভান্টেজ তৃণমূল। বিজেপি ভোটে জিতেও ক্ষমতা দখল করতে পারবে না। তাই অভিষেকের সভার আগে বিজেপিতে ভাঙন ভীতি প্রবল।