অনেক বিজেপি নেতাই চাইছেন অবিলম্বে জামিন পেয়ে যান ফিরহাদ-সুব্রত-মদন-শোভনরা
অনেক বিজেপি নেতাই চাইছেন অবিলম্বে জামিন পেয়ে যান ফিরহাদ-সুব্রত-মদন-শোভনরা
নারদকাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায় এবং দুই নেতা মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়। এরপর থেকে রাজ্য রাজনীতি সরগরম হয়ে আছে। চারজনের জামিন নিয়ে নানা নাটক চলছে। এরই মধ্যে বিজেপির একাংশ চাইছে অবিলম্বে জামিনে মুক্তি দেওয়া হোক চার হেভিওয়েট নেতাকে।
মমতাই সঠিক জোটসঙ্গী বিজেপির বিরুদ্ধে, অধীরকে নিশানা করে বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা ফাটালেন বোমা
চার হেভিওয়েট নেতার জামিনের অপেক্ষায় আরও ১ দিন
চার হেভিওয়েটের মধ্যে তিনজনে রয়েছেন এসএসকেএমের উডবার্ন ওয়ার্ডে। আর একজন রয়েছেন প্রেসিডেন্সি জেল হাসপাতালে। বুধবার হাইকোর্টে শুনানির পরও তাদের জামিন মেলেনি। এখনও অপেক্ষা একদিনের। বৃহস্পতিবার ফের শুনানি হবে, তারপরই রায় মিলবে চার হেভিওয়েট নেতার জামিনের ব্যাপারে।
চার হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রীর অবিলম্বে জামিন চায় বিজেপি
রাজ্য বিজেপির একাংশ নেতা এই গ্রেফতারির ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাঁরা চাইছেন চার হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রীর অবিলম্বে জামিন হোক। মুকুল রায় বা শুভেন্দু অধিকারীরা চার্জশিটের কোন পর্যায়ে রয়েছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তো আছেই! করোনা পরিস্থিতিতে টালমাটাল অবস্থা তৈরি হয়েছে, টিকাকরণ-সহ অন্যান্য বিষয় কীভাবে এগোবে, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
গ্রেফতারির সময়টা ভুল হয়েছে, বলছে বিজেপিই
তবে এসব ছাড়াও রাজ্য বিজেপির মনে অন্য চিন্তা মাতাচাড়া দিয়ে উঠেছে। নিচুতলার নেতা-কর্মীদের সুরক্ষা নিয়েও তাঁরা সন্দিহান। এরপর তৃণমূলের হাতে আক্রান্ত হতে পারেন বিজেপি কর্মীরা। বহু জায়গায় বিজেপির দলীয় কার্যালয় বন্ধ। বিজেপি নেতা প্রকাশ্যেই বলছে, গ্রেফতারির সময়টা ভুল হয়েছে। দুটে বিধানসভা চলে গেল, নারদ ইস্যু দিয়ে কিছু হল না, এখন কী হবে?
নেতাদের গায়ে নারদের কালি, অসন্তোষ বেড়েছে বই কমেনি
রাজ্য বিজেপির এক নেতার কথায়, মিডিয়া ফেস করতে গিয়ে অপ্রিয় অনেক প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে। মুকুল রায়, শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে প্রশ্নের উত্তর দিতে হচ্ছে। তাই যা হওয়ার হয়েছে। এখন জামিন পেয়ে গেলেই ভালো। বিজেপিতে আদি-নব্য সংঘাতের মধ্যে তাঁদের নেতাদের গায়েও নারদের কালি লেগেছে, তাই অসন্তোষ বেড়েছে বই কমেনি।