রাহুল সিনহা-পর্বের পর আদি নেতারা অসহায় বোধ করছেন বঙ্গ বিজেপিতে, বাড়ছে ক্ষোভ
বিজেপিতে রাহুল সিনহা-পর্বের পর ক্ষোভ বাড়ছে। বিজেপির অন্দরে আরও বড় করে মাথাচাড়া দিয়েছে আদি-নব্য দ্বন্দ্ব। কেন বিজেপিতে শুধু নব্যরাই অর্থাৎ তৃণমূল ছেড়ে আসা নেতা-নেত্রারাই পদ পাবেন, যাঁরা এতদিন দলটা করে এল, দল কেন তাঁদের কতা ভাববে না। ত্রমশই জোরালো হচ্ছে বিরোধী আওয়াজ।

বিজেপির সেবা করল যাঁরা, তাঁরা লাইমলাইটে নেই
বিজেপি সম্প্রতি মুকুল রায়কে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া শুরু করেছে। ফলে তাঁর অনুগামীরাই পদ আলো করে বসে আছেন। কিন্তু যাঁরা এতদিন বিজেপির সেবা করে এল, তাঁরা আজ লাইমলাইটে নেই। বিজেপির এই পদস্ফলন দেখে তিতিবিরক্ত দীর্ঘদিন গেরুয়া রাজনীতি করা নেতা-নেত্রীরা।

আদি বিজেপি নেতারা দলে বিদ্রোহ শুরু করেছেন
রাহুল সিনহাকে কেন্দ্রীয় সম্পাদকের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর থেকেই বিজেপির অন্দরে তীব্র হয়েছে বিরুদ্ধ আওয়াজ। অনেকে দল ছাড়ার কথা ভাবছেন, অনেকে আবার নিস্ক্রিয় হয়ে গিয়েছেন। বিশেষ করে আদি বিজেপি নেতারা দলে বিদ্রোহ শুরু করেছেন। কোণঠাসা হয়েই তারা প্রতিবাদের রাস্তায় হাঁটছেন।

রাহুলের জায়গায় মুকুল ঘনিষ্ঠ অনুপম, ক্ষোভ
সম্প্রতি রাহুল সিনহাকে কেন্দ্রীয় সম্পাদকের পদ থেকে সরিয়ে দিয়ে মুকুল ঘনিষ্ঠ অনুপম হাজরাকে বসিয়েছে বিজেপির সর্বভারতীয় নেতৃত্ব। এই ঘটনায় রীতিমতো ক্ষিপ্ত রাহুল সিনহা। তিনি ১০-১২ দিনের মধ্যে যা জানার জানিয়ে দেবেন দলকে, এমন হুঁশিয়ারিও দিয়ে রেখেছেন। তারপর মুকুল রায়, শিব প্রকাশরা সক্রিয় হলেও তেমন কোনও সাড়া মেলেনি রাহুল সিনহার।

আদি নেতারা দলে গুরুত্বহীন বলে মনে করছেন
রাহুল নিজে আক্ষেপ করে বলেছেন, তৃণমূল থেকে নেতা আসছেন বলে আমাকে সরতে হল, এটা আমার কাছে্ বড় অপমান। ৪০ বছর দল করার পর এটা আমার পুরস্কার! এরপর বিজেপির অন্দরে যে সমস্ত ঘটনা ঘটছে, তাতে দায় চাপছে রাহুল ঘনিষ্ঠদের উপর। ফলে রাহুল ঘনিষ্ঠরা বিদ্রোহী হয়ে উঠছেন। আদি নেতারা দলে গুরুত্বহীন বলে মনে করছেন।

কাজের লোককে কাজ দেওয়া হচ্ছে না বিজেপিতে
সম্প্রতি বিজেপিতে বিক্ষোভ দানা বেঁধেছে সারদা-নারদে অভিযুক্ত মুকুল রায়কে দলে পদ দেওয়ায়। বিজেপি নেতৃত্ব মনে করছে এটা রাহুল ঘনিষ্ঠদেরই কাজ। উত্তর ২৪ পরগনায় বিজেপির বৈঠক চলাকালীন জেলা বিজেপি সভাপতির সামনে বিক্ষোভ দেখান শতাধিক কর্মী। তাঁরা অভিযোগ করেন, দলে পুরনো কর্মীরা গুরুত্বহীন হয়ে পড়ছেন। কাজের লোককে কাজ দেওয়া হচ্ছে না।

জেলায় জেলায় প্রতিবাদ-বিক্ষোভ, বিজেপিতে অশান্তি
আবার দক্ষিণ ২৪ পরগনায় কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সামনেই বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন দলের পুরনো কর্মীরা। ভাঙচুর-ধস্তাধস্তি চলে। জেলা সভাপতি অভিযোগ করেন জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক ও এক মণ্ডল সভাপতি বিরুদ্ধে। বাঁকুড়ায় দুই মণ্ডল সভাপতির অপসারণ নিয়েও বিতর্ক হয়, বিক্ষোভ দেখায় একশ্রেণির কর্মী। যদিও বাঁকুড়া জেলা সভাপতি জানান বিক্ষোভকারীরা বিজেপি কর্মী নন।
{quiz_369}