বিজেপিতে বেসুরো আরও এক সাংসদ! তৃণমূল-‘ঘনিষ্ঠ’কেই শেষে পরম মিত্র বাছলেন
শুভেন্দু অধিকারী দল ছাড়ার পর তৃণমূল কংগ্রেসে ভাঙন ধরেছিল। বেসুরো বাজছিলেন তৃণমূল সাংসদ-বিধায়করা। এবার উলট-পুরান ঘটছে। বেসুরো বাজছেন বিজিপের সাংসদ। দক্ষিণবঙ্গের এক সাংসদের পর বিজেপির উত্তরবঙ্গের এক সাংসদ এবার বেসুরো। বিজেপি সাংসদের গুরুং-বন্দনা নিয়ে চিন্তা বাড়ছে বিজেপির।

গুরুং-গড়ে বেসুরো বিজেপির আরও এক সাংসদ
একুশের ভোট যত এগিয়ে আসছে, ততই তৃণমূলের মতো বিজেপিতেও দলবদলের সম্ভাবনা বাড়ছে। পান থেকে চুন খসলেই দলের বিরুদ্ধে সরব হচ্ছেন নেতারা। কিছুদিন আগে থেকেই মতুয়া মহাসঙ্ঘের প্রধান বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর সরব হয়েছিলেন দলের বিরুদ্ধে। এবার বেসুরো আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ জন বার্লা।

বিজেপি সাংসদ যখন গুরুংয়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ
জন বার্লা দলের বিরুদ্ধে কোনও ক্ষোভ উগরে দেননি। কিন্তু তিনি এমন একজনের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন, যিনি প্রকাশ্যে তৃণমূলকে সমর্থনের কথা ঘোষণা করেছেন। পাহাড় থেকে সমতল তৃণমূলকে জেতানোর অলিখিত দায়িত্ব নিয়ে নিয়েছেন তিনি। তিনি হলের একদা পাহাড়ের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে যাঁকে বর্ণনা করা হল, সেই বিমল গুরুং।

গুরুংয়ের সঙ্গে মন থেকে বন্ধুত্ব করেছেন সাংসদ
এই মুহর্তে উত্তরবঙ্গে বিজেপির কাছে সবথেক বড় চ্যালেঞ্জ তিনি। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে পাহাড় থেকে ডুয়ার্স বেশ কিছু আসনের ভাগ্য নির্ধারণ করে দেবেন তিনি। বিজেপির সাংসদ জন বার্লা তাঁর প্রতিই দিয়েছেন বিশেষ বার্তা। তিনি তাৎপর্যপূর্ণ বার্তায় জানিয়েছেন, বিমল গুরুংয়ের সঙ্গে মন থেকে বন্ধুত্ব করেছিল।

রাজনীতিতে চড়াই-উতরাই থাকে, অপেক্ষা সময়ের
এখানেই শেষ নয়। বিজেপি সাংসদ দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলেছেন, বিমল গুরুংয়ের সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্ব ছিল, আছে, থাকবেও। ২০০৭ সাল থেকে আমরা বন্ধু আছি। এরপরও তাঁর আরও তাৎপর্যপূর্ণ বার্তা, রাজনীতিতে চড়াই-উতরাই থাকে। সময় আসলে সব বোঝা যাবে। একুশের নির্বাচনের আগে সাংবাদিক সমক্ষে এমন কথায় রহস্য দানা বাঁধবেই!

গুরুং পাহাড়ে ফিরতেই সুর বদল বিজেপি সাংসদের
২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে সমর্থন করেছিলেন বিমল গুরুং। একুশের নির্বাচনের আগে বিমল গুরুং ঘোষণা করেন, তিনি টান ২০২১-এ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসুন। তাই তাঁর সমর্থন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূলের দিকেই থাকবে। তারপরই পাহাড়ে ফিরে বিমল গুরুং প্রচার চালাতে শুরু করেছেন। এরই মধ্যে এল জন বার্লার বার্তা।

পাহাড়-ডুয়ার্স-সহ সমতলের হাওয়া ঘুরতে শুরু করেছে
এখন দেখার জন বার্লার এই বার্তা কোন দিকে মোড় এনে দেয় উত্তরবঙ্গের রাজনীতিতে। জন বার্লা বিমল গুরুংয়ের দিকে ঢলে পড়েন, নাকি বিমল গুরুং ফের তৃণমূলকে ছেড়ে বিজেপিকে সমর্থন করেন। তা নিয়ে চাপানউতোর চলছে। রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছে, বার্লা বুঝতে পেরেছেন পাহাড়-ডুয়ার্স-সহ সমতলের হাওয়া ঘুরতে শুরু করেছে।

পাহাড়-ডুয়ার্সের ১৮টি আসন টার্গেট বিমল গুরুংয়ের
২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের নিরিখে আলিপুরদুয়ারের ৯টি বিধানসভা আসনে এগিয়ে ছিল বিজেপি। কিন্তু বিমল গুরুং পাহাড়ে ফেরার পরে রাজনৈতিক সমীকরণ বদলাতে শুরু করেছে। এবার আদিবাসী ও নেপালি ভোট বিজেপির পক্ষে যাওয়া কঠিন। প্রথমত বিমল গুরুং, দ্বিতীয় আদিবাসী বিকাশ পরিষদ এখন তৃণমূলের পক্ষে। পাহাড়-ডুয়ার্সের ১৮টি আসন মমতার হাতে তুলে দেওয়ার পণ করেছেন গুরুং।

'টাটাদের তাড়িয়ে ভুল করেছি', নন্দীগ্রাম থেকে স্বীকারোক্তি মমতার সিঙ্গুর আন্দোলনে শরিক মুকুলের