বিজেপির আরও এক বিধায়ককে নিয়ে জল্পনা, ক্রমেই ফাটল তীব্র হচ্ছে উত্তরবঙ্গে
বিজেপির আরও এক বিধায়ককে নিয়ে জল্পনা, ক্রমেই ফাটল তীব্র হচ্ছে উত্তরবঙ্গে
উত্তরবঙ্গ নিয়ে বিজেপির গর্ব ছিল। ২০১৯-এ এই উত্তরবঙ্গের সাফল্যই বিজেপিতে বাংলা জয়ের স্বপ্ন দেখাতে শুরু করেছিল। ঊনিশে তৃণমূলকে উত্তরবঙ্গ থেকে সাফ করে দেওয়ার পরও একুশে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাংলার কুর্সি থেকে সরাতে পারেনি বিজেপি। বিপুল আসন নিয়ে ফের ক্ষমতায় ফিরে এসেছেন তিনি। আর তৃণমূলের পুনরুত্থানের পর বিজেপিতে বেসুরোর সংখ্যা বেড়েই চলেছে।
আরও এক বিধায়ককে নিয়ে জল্পনা বাড়ল উত্তরবঙ্গে
শুধু দক্ষিণবঙ্গ নয়, উত্তরবঙ্গেও বিজেপিতে ভাঙন ধরছে। উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জের বিধায়ক সৌমেন রায় যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। তারপর থেকেই রায়গঞ্জের বিজেপি বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী দল ছেড়েছেন। তবে এখনও তিনি তৃণমূলে বা অন্য কোনও দলে যোগ দেননি। তাঁকে নিয়ে জল্পনার মাঝেই আরও এক বিধায়ককে নিয়ে জল্পনা বাড়ল উত্তরবঙ্গে।
বিজেপি বিধায়কের বাড়িতে তৃণমূলের জেলা সভাপতি
মহালয়ার দিনে কোচবিহারের নাটাবাড়ির বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামীর বাড়িতে যান তৃণমূলের জেলা সভাপতি গিরীন্দ্রনাথ বর্মন। তাঁদের এই সাক্ষাৎকে কেন্দ্রে করে জল্পনা শুরু হয় বিজেপি বিধায়ককে নিয়ে। যদিও উভয়েই দাবি করেছেন তাঁদের মধ্যে সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়েছে। এর মধ্যে অন্য কোনও কারণ নেই।
রাজনৈতিক অভিভাবক ছিলেন, আশীর্বাদ নিতে এসেছি
বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামীকে পাশে নিয়ে তৃণমূলের জেলা সভাপতি গিরীন্দ্রনাথ বর্মন বলেন, আমি নতুন জেলা সভাপতি হয়েছি। আর মিহিরদা প্রবীণ রাজনীতিক। আমার রাজনৈতিক অভিভাবক ছিলেন। তাঁর কাছে আশীর্বাদ নিতে এসেছি। যাতে আমার এই রাজনৈতিক উত্থান দীর্ঘায়িত হয়, সেই আশীর্বাদ চেয়েছি দাদার কাছে।
তৃণমূলের পথে পা বাড়াতে পারেন আরও এক বিধায়ক
যদিও তৃণমূলের জেলা সভাপতি বা বিজেপির বিধায়কের এই সৌজন্য সাক্ষাতের তত্ত্ব মানতে নারাজ রাজনৈতিক মহলের একাংশ। এর মধ্যেও তাঁরা বিজেপি বিধায়ককে নিয়ে জল্পনার পারদ চড়িয়েছেন। বিজেপিতে গিয়েও বিধায়ক হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন বিধায়ক মিহির গোস্বামী। তিনি ফের তৃণমূলের পথে পা বাড়াতে পারেন বলে জল্পনা চলছে।
বিজেপি বিধায়কের ঘরওয়াপসির জল্পনা শুরু উত্তরবঙ্গে
২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে মিহির গোস্বামীর দলবদল নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। তৃণমূলের বিরুদ্ধো বিদ্রোহ করেই দল ছেড়েছিলেন মিহির। তাঁকে অনেক বুঝিয়েও কোনও কাজ হয়নি। বিজেপিতে গিয়ে তিনি কোচবিহারের নাটাবাড়ি থেকে ভোটে লড়েন। তৃণমূলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি তথা রাজ্যের প্রাক্তনমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে তিনি হারিয়ে দেন। এখন সেই মিহির গোস্বামীর ঘরওয়াপসির জল্পনা শুরু হয়েছে ফের।