বিজেপি বিধায়ক এবার বেসুরো দলের নতুন ক্যাপ্টেনের বিরুদ্ধেই, তৃণমূল-যোগের জল্পনা তুঙ্গে
২৪ ঘণ্টা আগে বিজেপি তাদের ক্যাপ্টেন বদল করেছে। দিলীপ ঘোষের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন বয়সে নবীন সুকান্ত মজুমদার।
২৪ ঘণ্টা আগে বিজেপি তাদের ক্যাপ্টেন বদল করেছে। দিলীপ ঘোষের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন বয়সে নবীন সুকান্ত মজুমদার। বালুরঘাটের সাংসদ নির্বাচিত হওয়ার পর সঙ্ঘ-ঘনিষ্ঠ সুকান্ত মজুমদারের রাজ্য সভাপতি হওয়া নিয়ে যখন বিজেপি চাঙ্গা হতে শুরু করেছে, তখনই বিজেপিরই এক বিধায়কর সমালোচনায় বিঁধলেন দলের এই সিদ্ধান্তকে। ফের বেসুরো হলেন বিধায়ক।
বিজেপির নয়া রাজ্য সভাপতির সমালোচনায় বিধায়ক
সুকান্ত মজুমদার বিজেপির রাজ্য সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর সেই উত্তরবঙ্গ থেকে তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রকাশ করে বসলেন দলেরই এক বিধায়ক। উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী এদিন প্রশ্ন তোলেন সুকান্ত মজুমদারের যোগ্যতা নিয়েই। তিনি বলেন, সুকান্তবাবু বয়সে নবীন। তিনি গোটা রাজ্যের দায়িত্ব কীভাবে সামলাবেন, তা নিয়ে আমার সন্দেহ রয়েছে।
সুকান্ত মজদুমদার সভাপতি, সমালোচনা বিধায়কের
এখানেই শেষ নয়, কৃষ্ণ কল্যাণী আরও বলেন, বিজেপি একজন প্রবীণ ও অভিজ্ঞতা সম্পন্ন রাজনীতিককে এই দায়িত্ব দিতে পারত। আর তার আগে সকলের সঙ্গে আলোচনা করা উচিত ছিল। কিন্তু ঘোষণার পূর্ব মূহূর্ত পর্যন্ত রাজ্য নেতৃত্ব জানতে না রাজ্য সভাপতি পরিবর্তনের বিষয়টি। আমরা বিধায়করা তো নয়ই, রাজ্য সভাপতি স্বয়ংও জানতেন না এই সিদ্ধান্তের কথা। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরই তা সকলের নজরে আসে।
নতুন ক্যাপ্টেনের সমালোচনা, ডাল মে কুছ কালা হ্যায়
কৃষ্ণ কল্যাণীর বারবার এই বেসুরো হওয়া, বিজেপির সমালোচনায় মুখর হওয়ার নেপথ্যে দল পরিবর্তনের পরিকল্পনা রয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। বিজেপি বিধায়ককে এর আগে দেখা গিয়েছিল দলের সাংসদ তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরীর বিরুদ্ধে সরব হতে। তারপর বিজেপির নেতৃত্ব পরিবর্তন হওয়ার পরও যদি নতুন ক্যাপ্টেনের সমালোচনা করেন, তবে বলতেই হল ডাল মে কুছ কালা হ্যায়।
পদ্মের পাপড়ির মতো খসে পড়তে পারেন বিজেপি থেকে
সম্প্রতি উত্তরবঙ্গেরই কালিয়াগঞ্জের বিজেপি বিধায়ক সৌমেন রায় দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেছেন। তারপর থেকেই রায়গঞ্জের বিজেপি বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী বেসুরো বাজতে শুরু করেছিলেন। দিন দিন তাঁর বিদ্রোহ বাড়ছে। বাবুল সুপ্রিয় বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে য়োগদানের পরও বিজেপির সমালোচনায় সরব হয়েছিলেন কৃষ্ণ কল্যাণী। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, কৃষ্ণ কল্যাণী যে কোনও দিন পদ্মের পাপড়ির মতো খসে পড়তে পারেন বিজেপি থেকে।
এবার কি তাহলে কৃষ্ণ কল্যাণীর পালা
রায়গঞ্জের বিজেপি বিধায়ক বিজেপির বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করে বলেন, কে কোথায় অসম্মানিত হচ্ছে, দেখতে হবে দলকেই। যাঁরা দল ছাড়ছেন, তাঁরা অসম্মানিত হয়েই দল ছাড়ছেন। তাই অসম্মানিত হয়ে দলকে সময় দিয়েছি এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। কাজ না হলে অন্য কিছু ভাবতে হবে। তাঁর এই অন্য ভাবনাতেই দলবদলের জল্পনা লুকিয়ে রয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। চার জন বিধায়কের তৃণমূলে যোগদানের পর এবার কি তাহলে কৃষ্ণ কল্যাণীর পালা, তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে।
নয়া সভাপতির সমালোচনা কি দলবদলেরই ইঙ্গিত
এবার তিনি বিজেপির সদ্য নির্বাচিত সভাপতির সমালোচনা করলেন। তাঁকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েও তিনি প্রশ্ন তুললেন নতুন রাজ্য সভাপতির অনভিজ্ঞতা নিয়ে। তিনি অভিজ্ঞতা প্রাধান্য দিলেন নতুন রাজ্য় সভাপতি মনোনয়নে। তাতেই ফের জল্পনা তবে কি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলের দিকে ঝুঁকে পড়েছেন কৃষ্ণ। স্রেফ সময়ের অপেক্ষা দলবদলের? বারবার কৃষ্ণ কল্যাণীর এই বেসুরো হওয়া, দলীয় নেতৃত্বের সমালোচনা, সাংসদের বিরুদ্ধাচারণ, নয়া সভাপতির সমালোচনা করা দলবদলেরই ইঙ্গিত।