
পঞ্চায়েত ভোটেই কি পাল্টি খাবে মতুয়ারা! জল্পনা বাড়িয়ে দিলেন স্বয়ং বিজেপির মন্ত্রীই
২০১৯-এর লোকসভা ভোটের আগে মতুয়াদের নাগরিকত্ব প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বিজেপি। তারপর কেটে গিয়েছে প্রায় দীর্ঘ চার বছর। কিন্তু মতুয়াদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি রাখতে পারেনি। ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনেও বিজেপির আশ্বাসে আস্থা রেখেছিলেন মতুয়ারা। কিন্তু পঞ্চায়েতে কি সেই আস্থার জায়গা আর রয়েছে, তা নিয়েই প্রশ্ন উঠে পড়েছে।

মতুয়ারা যে তিমিরে ছিল সেই তিমিরেই
মতুয়াদের প্রধান দাবি ছলি সিএএ। কিন্তু তার বাস্তবায়ন হয়নি. কথা ছিল নিঃশর্ত নাগরিকত্ব দেওয়া হবে মতুয়াদের তাও পাননি তাঁরা। কখনও নাগরিকত্ব প্রদানের কথা বলে, কখনও হরিচাঁদ
ঠাকুরের জন্মভিটেতে প্রধানমন্রীও গিয়ে মতুয়াদের মন জয়ের চেষ্টা করেছে। পরিবর্তে মতুয়ারা বিগত দুটি নির্বাচনে ঢেলে ভোট দিয়েছে বিজেপিকে। কিন্তু মতুয়ারা যে তিমিরে ছিল সেই তিমিরেই রয়ে গিয়েছে।

বেসুরো আওয়াজ শোনা যাচ্ছে মতুয়া মহল থেকে
একুশের পরবর্তী সময়ে অসন্তোষ আরও বেড়েছে। মতুয়া মহল থেকে বিদ্রোহের সুর উঠেছিল আগেই। বিজেপি সাংসদ থেকে বিজেপি বিধায়করা সরব হয়েছিলেন পার্টির বিরুদ্ধে। বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু তারপর সাংসদকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিত্ব উপহার দিয়ে বিদ্রোহ দমন করেছেন। কিন্তু মতুয়ারা সরে যাচ্ছেন পাশ থেকে, তা বুঝতে পেরে ফের বেসুরো আওয়াজ শোনা যাচ্ছে মতুয়া মহল থেকে।

উত্তর ভালো দিতে পারবে বিজেপি নেতৃত্ব
মতুয়ারা কি বিজেপির পাশে থাকবে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে? এই মোক্ষম প্রশ্ন ছুড়ে দেওয়া হয়েছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের সামনে। সেই প্রশ্নের উত্তর সুচতুরভাবে এড়িয়ে গিয়ে জল্পনা আরও বাড়িয়ে দিলেন শান্তনু। তিনি বলেন, এর উত্তর ভালো দিতে পারবে বিজেপি নেতৃত্ব। কী চলছে আর কী চলবে তার উত্তর আমার কাছে নেই।

মতুয়ারা তৃণমূলের পাশেই থাকবেন, দাবি
পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে শান্তনুর জবাবে অস্বচ্ছতা স্পষ্ট। তাঁর সঙ্গে যে বিজেপি নেতৃত্বের সংঘাত মেটেনি তাও তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন। তাই বিজেপি নেতৃত্বের কোর্টে বল ফেলেছেন। এদিকে প্রাক্তন সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর আবার দাবি করেছেন, মতুয়ারা তৃণমূলের পাশেই থাকবেন। তাঁরা বিজেপির স্বরূপ চিনে ফেলেছেন, তাঁরা চরম অসন্তুষ্ট।

মতুয়ারা আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেবে
বিজেপির প্রতি ক্ষোভ আছে কি না তা নিয়ে অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসংঘের সাধারণ সম্পাদক সুখেন্র্ে গাইন আগেও সুর চড়িয়েছিলেন। এবারও সুর চড়িয়ে তিনি বলেন, মতুয়াদের যে মূল দাবি ছিল, তা আজও মেটেনি। কবে মিটবে কেউ জানে না। এর ফলে আগামী দিনে মতুয়ারা আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেবে। তারা কোন অবস্থান নেবে তা বলবে ভবিষ্যৎ। বিজেপির প্রতি মতুয়ারা যে প্রসন্ন নয়, তা আকারে-ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিয়েছেন শান্তনু ঠাকুর বা সুখেন্দ্র গাইন।