২০১৯ লোকসভায় কত আসন পাবে বিজেপি! বাংলায় গোপন সমীক্ষায় স্পষ্ট আভাস
এবার বাংলায় ৪২-এ বিজেপির টার্গেট ২২। সেই লক্ষ্য নিয়েই বঙ্গ বিজেপি এগোচ্ছে। দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহকে এই লক্ষ্যমাত্রা জানিয়েছিলেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
এবার বাংলায় ৪২-এ বিজেপির টার্গেট ২২। সেই লক্ষ্য নিয়েই বঙ্গ বিজেপি এগোচ্ছে। দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহকে এই লক্ষ্যমাত্রা জানিয়েছিলেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এরপর বিজেপিরই একটি নিজস্ব দল সমীক্ষা চালায়। সেই সমীক্ষা রিপোর্ট কিন্তু বিজেপির পক্ষে সুখকর নয়। যেখানে টার্গেট ২২টি লোকসভা আসন, সেই নিরিখে সমীক্ষায় নেমে হতাশাই গ্রাস করছে বিজেপিকে।
বঙ্গে শূন্য হাত বিজেপির
অন্য কোনও সংস্থার সমীক্ষায় বিশ্বাস নেই। বিজেপি গোপনে সমীক্ষা চালিয়েছে নিজে থেকে। সেই সমীক্ষা রিপোর্ট আবার তুলে দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের হাতেই। বিজেপির তৈরি করা সমীক্ষা রিপোর্টে যা রয়েছে, তা বঙ্গ বিজেপির পক্ষে হতাশাব্যাঞ্জক। কারণ এবার বঙ্গে বিজেপির ঝুলি থাকবে শূন্য।
৪২-এ ২২ দূর অস্ত
বিজেপির কাছে ৪২টির মধ্যে ২২টি আসনপ্রাপ্তি তো দুর অস্তই, দখলে থাকা দুটি আসনও তাঁদের হাতছাড়া হতে পারে। এমনই সম্ভাবনার কথা রয়েছে ওই সমীক্ষা রিপোর্টে। অর্থাৎ দার্জিলিং ও আসানসোল আসন দুটিতেও বিজেপি হারতে পারে। এমন আশঙ্কার কথা জানিয়েছে সমীক্ষা। ফলে দিলীপ ঘোষদের ২২টি আসনের দাবি এখন ফোঁপরা ঢেঁকির মতোই লাগছে।
প্রধান বিরোধী দল বিজেপি
সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের নির্দেশে এই সমীক্ষা চালানো হয়েছে বলেই অন্দরের খবর। সেই সমীক্ষায় বিজেপির পক্ষে ইতিবাচক একটাই বিজেপি রাজ্যে প্রধান বিরোধী শক্তি হয়ে উঠছে। বিজেপি অধিকাংশ আসনেই দ্বিতীশ শক্তি হিসেবে উঠে আসেছে। অর্থাৎ ২০২১-এর বিধানসভায় লড়াই তৃণমূল বনাম বিজেপির।
মোদীকে ‘উপহার’ দুরাশা
এবার গো-বলয়ের রাজ্যগুলিতে বিজেপির আগের সাফল্য পাবে না। একতরফা যে সাফল্য ২০১৪ সালে পেয়েচিলেন মোদী, এবার তা অনেকটাই ফিকে। এমনকী সাম্প্রতিক নির্বাচনগুলির ইঙ্গিত অনুযায়ী, বিজেপি গো-বলয়ে পিছিয়েও পড়তে পারে কংগ্রেসের কাছে। তাই নজর ছিল বাংলায়। কিন্তু বাংলা কোনও উপহার তুলে দিতে পারছে না মোদীর হাতে।
সমীক্ষা রিপোর্ট ধরেই লড়াই
তবু বিজেপি হাল ছাড়ছে না। ২২ না হোক, যতগুলি আসন দখল করা যায়, তার জন্য ঝাঁপাবে বিজেপি। এই মর্মে বিজেপির বঙ্গ নেতৃত্বকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যে সমস্ত কেন্দ্রে জয়ের সম্ভাবনা রয়েছে বা জয় থেকে সামান্য দূরে থাকছে বিজেপি, সেই কেন্দ্রগুলিতে পদ্ম ফোটাতে মরিয়া গেরুয়া শিবির।