রাজ্যে বিজেপি ফিরে আসবে জয়ে রাস্তাতেই! কারণ দেখিয়ে বলছে হিন্দু সংগঠনগুলি
বিধানসভার তিনটি কেন্দ্রের উপনির্বাচনে বিজেপিকে গোহারান হারিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু ঠিক পাঁচ মাস আগে এই তৃণমূলের কাছ থেকেই একের পর আসন ছিনিয়ে নিয়েছিল বিজেপি। তবে অনেকেই বলে থাকেন, লোকসভা বিজেপির জয়ে পিছনে কাজ করেছিল আরএসএস এবং বিশ্বহিন্দু পরিষদের মিলিত শক্তি। যা উপনির্বাচনে হয়নি।

লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি
লোকসভা নির্বাচনে প্রথমবার বিজেপি একাই সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়েছিল। যার মধ্যে রাজ্যের ১৮ আসন ছিল গুরুত্বপূর্ণ। অনেকেই বলেন, নির্বাচনে বিজেপি ছাড়াও শুধু সংঘই নয়, সংঘ ঘনিষ্ঠ একাধিক সংগঠন পথে নেমেছিল। তাদের ওপর নির্ভর করেই বিজেপির সাফল্য।

বিধানসভা উপনির্বাচনে বিজেপির হারে প্রশ্ন
মাত্র মাসের মধ্যে ৩ আসনে উপনির্বাচনে বিজেপি হার নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সংগঠনের কঙ্কালসার অবস্থাটা প্রকাশ হয়ে পড়ছে। জানা যাচ্ছে শুরু কালিয়াগঞ্জে ২৭০ টি বুথের মধ্যে ৩০ টিতে কোনও বুথ কমিটি ছিল না বিজেপির। সূত্রের খবর অনুযায়ী, কেন কালিয়াগঞ্জ কিংবা খড়গপুরের মতো আসনে মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিল সেই প্রশ্ন উঠছে আরএসএস, বিশ্ব হিন্দু পরিষদের অন্দরে।

উপনির্বাচনে নামে না সংঘের শাখা সংগঠন
আরএসএস, বিশ্ব হিন্দু পরিষদের অনেকেই বলছেন, তারা সরাসরি ভোটের প্রচারে নামেন না কখনই। প্রচারটা করা হয় মানুষকে সচেতন করার জন্য। আর উপনির্বাচনে তো প্রচারে নামার প্রশ্নই নেই। সেইজন্য হারের কারণ বিজেপিই ব্যাখ্যা করতে পারবে বলে মনে করছেন তারা।

হিন্দুদের জন্য সিএবি, মুসলিমদের জন্য এনআরসি
কট্টর হিন্দু সংগঠনগুলির কেউ কেউ বলছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে বিজেপির মুসলিম প্রীতি বেড়ে গিয়েছে। সেই জন্য অনেক হিন্দু মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। পাশাপাশি তারা বলছেন, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল হচ্ছে হিন্দুদের জন্য আর এনআরসি হচ্ছে মুসলিমদের জন্য। সেই কথাটা মানুষের সামনে তুলে ধরতে বিজেপি ব্যর্থ হয়েছে। তবে তাদের দাবি এই উপনির্বাচনে বিজেপি যে ভোট পেয়েছে, তা তাদের কমিটেড ভোট। আর দিন কয়েয়ের মধ্যে সিএবি পাশ হলে ফের হিন্দু ভোট বিজেপির পালে ফিরবে বলে মনে করছেন তাঁরা।