চার হেভিওয়েট কি শেষে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে ভিড়বেন, একুশের আগে জল্পনা জোর
চার হেভিওয়েট কি শেষে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ভিড়বেন, একুশের আগে জল্পনা জোর
২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচন দুয়ারে কড়া নাড়ছে। এখনও চারজনকে নিয়ে বিপাকে পড়ে রয়েছে বঙ্গ বিজেপি। তাঁরা কী করবেন, আদৌ বিজেপিতে থাকবেন কি না তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। মুকুল রায়ের গুরুত্ব বাড়ার পর নতুন করে সঙ্কট বেড়েছে বই কমেনি। এখন চারজনের গতিবিধির উপর অনেকটাই নির্ভর করছে বিজেপির ভাগ্য।
১৫ মাসেও শোভনের অজ্ঞাতবাস কাটেনি
প্রথমেই যাঁর নাম আসবে তিনি হলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। এক বছর তিন মাস হতে চলল তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। কিন্তু এখনও তিনি সক্রিয় হলেন না বিজেপিতে। আজ পর্যন্ত বিজেপির কোনও অনুষ্ঠানে তাঁকে দেখা যায়নি। এখন আবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পুজো উদ্বোধনের দিন গরহাজির থেকে নিজেকে জল্পনার মধ্যে এনে ফেলেছেন।
সম্প্রতি মোদীকে ছেড়ে মমতা-বন্দনা শোভনের
মোদীর উদ্বোধনের দিন শোভন চট্টোপাধ্যায় মেতেছিলেন দিদির পুজো উপহার নিয়ে। তা নিয়ে ভীষণ ক্ষুব্ধ বিজেপি নেতৃত্ব। এবার রাজ্য কমিটিতে শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় স্থান দেওয়ার পরও তাঁরা বিজেপি থেকে দূরে দূরে থাকছেন। সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাঠানো পুজো উপহার ও তাঁকে দেওয়া পুজো উপহার নিয়ে শোভন-বৈশাখীরা ব্যস্ত থেকেছেন।
শোভন মমতার অনেক কাছের, তাই বৈশাখীও...
তাঁদের এই ঘন ঘন অবস্থান বদলানো দেখেই রাজনৈতিক মহল মনে করছে, শেষপর্যন্ত শোভন তৃণমূলের দিকেই ঝুঁকবেন। শোভনের মতো দিদি-অন্ত প্রাণ বিজেপিকে গিয়ে তেমন কিছু করতে পারবেন না। মুকুল রায় তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড ছিলেন ঠিকই, তাঁর সঙ্গে দলগত সমীকরণে বিরোধ তৈরি হয়েছিল। আর শোভনের বিরোধ ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়ে। আর তিনি অনেক বেশি কাছের জন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
তথাগত রায় বিজেপিতে ব্রাত্য, জল্পনায় নাম
এরপর যে নাম আসবে, তা হল তথাগত রায়ের। তথাগত রায় অনেক আশা করে মেঘালয়ের রাজ্যপালের পদ ছেড়ে সক্রিয় রাজনীতিতে প্রবেশের ইচ্ছা নিয়ে বাংলায় ফিরেছিলেন। কিন্তু বিজেপি তাঁকে আমল দেয়নি। রাজ্য কমিটি বা কেন্দ্রীয় কমিটিতে কোনও জায়গা দেওয়া হয়নি বিজেপির এই প্রাক্তন রাজ্য সভাপতিকে। তিনিও যদি তৃণমূলমুখী হন, বলার কিছু থাকবে না। কিন্তু এক্ষেত্রে একটা কথা, তথাগত রায় আদ্যান্ত আরএসএস-পন্থী মানুষ। তবে রাজনীতিতে কিছুই বলা যায় না।
রাহুল পদ খুইয়ে একঘরে, জল্পনা তাই বাড়ছে
আর শেষোক্ত জন হলেন রাহুল সিনহা। তিনি সম্প্রতি মুকুল রায় ঘনিষ্ঠ অনুপম হাজরার কাছে পদ খুইয়েছেন। বিজেপির আর এক প্রাক্তন রাজ্য সভাপতিরও করুণ অবস্থা দলে। বর্তমানে তাঁর কোনও গুরুত্ব নেই। তিনি পদহীন হয়ে গিয়েছেন। প্রথম আক্ষেপ করেছিলেন ৪০ বছর রাজনীতির পর এটাই আমার পুরস্কার! এখন নিজের মুখে বলছেন, অনেকদিন তো কাজ করলাম, তাই বিশ্রামে আছি। তিনিও যদি বিজেপি ছাড়েন, তা অপ্রাসঙ্গিক হবে না।
চার রাজনীতিবিদ কী অবস্থান নেন, চমকের অপেক্ষা
এখন দেখার এই চার রাজনীতিবিদ কী অবস্থান নেন। তাঁরা বিজেপি ছেড়ে অন্য কোনও পার্টিতে নাম লেখান, নাকি বিজেপিতেই রয়ে যান। তার উত্তর দেবে ভবিষ্যৎ। তবে ২০২১-এর নির্বাচনের আগে তা নিয়ে জল্পনা রয়েই গিয়েছে। আরও জল্পনা বাড়বে যত ২০২১-এর ভোটের সময় এগিয়ে আসবে। দু-পক্ষই চাইবে চমক দিতে।
সৌমিত্র জেহাদের পরেও বিজেপিতে, বাকি আছে চন্দ্র বসু
সম্প্রতি মুকুল ঘনিষ্ঠ সৌমিত্র খানের জেহাদ ঘোষণায় বিজেপিতে ফাটল ধরেছিল। তবে বিজয়া দশমীতে সেই ফাটল ভরাট করে নিয়েছে বিজেপি। দিলীপ-সৌমিত্রকে একত্রিত হতে দেখা গিয়েছে। একে অপরের সঙ্গে বিজয়ার সৌহার্দ্র বিনিময় করে সমস্যা মিটিয়ে নিয়েছেন। এখনও দোটানায় পড়ে রয়েছেন ওই চারজন আর চন্দ্র বসু। তিনিও বর্তমানে সমস্ত পদ থেকে বিচ্যুত।
তারুণ্যকে হাতিয়ার করেই বাজিমাত তেজস্বীর, নীতীশের থেকে ৯ গুণ বেশি জনপ্রিয় লালুপুত্র!