২০২১-এ বাংলার ভাগ্য কার হাতে, বর্ষপূর্তিতে বিস্ফোরক দাবি করে বসলেন অমিত শাহ
২০১৯-এর ভোটযুদ্ধে নৈতিক জয় হয়েছে বিজেপিরই। তৃণমূলের স্লোগান খাটেনি। ৪২-এ ৪২ হয়নি। বিজেপিও সাফ হয়নি। কিন্তু বিজেপি অনেকাংশে সফল। তাঁর ১৯-শে তৃণমূলকে হাপে পরিণত করে দিয়েছেন।
২০১৯-এর ভোটযুদ্ধে নৈতিক জয় হয়েছে বিজেপিরই। তৃণমূলের স্লোগান খাটেনি। ৪২-এ ৪২ হয়নি। বিজেপিও সাফ হয়নি। কিন্তু বিজেপি অনেকাংশে সফল। তাঁর ১৯-শে তৃণমূলকে হাপে পরিণত করে দিয়েছেন। কিন্তু একুশে কি বিজেপি পারবে তৃণমূলকে সাফ করতে। মোদী-২ সরকারের বর্ষপূর্তিতে অমিত শাহ দিলেন সেই বার্তাই।
লড়াই এবার শেয়ানে শেয়ানে
২০২১-এর বাংলা দখলের লড়াই খুব সহজ হবে না কারও পক্ষেই। বর্তমান রাজনীতির প্রেক্ষাপটে এ কথা বলাই যায় যে, তৃণমূলের তৃতীয়বার ক্ষমতায় ফেরা খুব সহজ হবে না। তেমনই বিজেপির পক্ষে তৃণমূলকে বাংলা থেকে সাফ করে দেওয়াও সাফ হবে না। লড়াই এবার শেয়ানে শেয়ানে।
বাংলায় প্রধান বিরোধী শক্তি বিজেপিই
বাংলায় বিজেপির আক্ষরিক অর্থে কোনও জনভিত্তি ২০১৯-এর আগে না থাকলেও, এখন তা নেই শত্রুতেও তা বলবে না। বিজেপি এখন বাংলায় প্রকৃত অর্থেই বাংলায় প্রধান বিরোধী শক্তি। ফলে তৃণমূল আর উড়িতে দিতে পারবে না যে, বিজেপি ৪২টি বুথও জিততে পারবে না রাজ্যে। কেননা তাঁরা ১৮টি আসন পেয়ে দেখিয়ে দিয়েছে তাঁদের শক্তি।
বিজেপির বর্ষপূর্তিতে টার্গেট পশ্চিমবঙ্গ
এই পরিস্থিতিতে বিজেপির প্রাক্তন সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ দ্বিতীয় মোদী সরকারের বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, এবার বাংলায় নিরুঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসবে বিজেপি। তৃণমূলের পক্ষে ক্ষমতা ধরে রাখা আর সম্ভব নয়। বাংলার মানুষ পরিবর্তনের প্রতীক্ষায় দিন গুনছেন।
সর্বশক্তি প্রয়োগ করে বাংলায় ঝাঁপিয়ে পড়বে বিজেপি
২০১৯-এর আগে বিজেপির কোনও ডেডিকেটেড ভোটব্যাঙ্ক ছিল না। বামভোট ভেঙে বিজেপি তৃণমূলকে হারিয়ছে ১৮ আসনে। বিধানসভাতে কি তা সম্ভব। তৃণমূলের মতো শক্তিকে হারানোর চাবিকাঠি কী হবে বিজেপির? প্রশ্নের উত্তরে অমিত শাহের জবাব, পশ্চিমবঙ্গ দখলের সব ছক কষা হয়ে গিয়েছে। সর্বশক্তি প্রয়োগ করে বাংলায় ঝাঁপিয়ে পড়বে। এবং বিজেপি ক্ষমতা দখল করবে।