বিজেপিও শুদ্ধিকরণের পথে হাঁটল তৃণমূলের পর! ৫ হেভিওয়েট নেতা সাসপেন্ড
২০২১ লোকসভা ভোটের আগে শুধু তৃণমূলই নয়, বিজেপিও জোর দিল শুদ্ধিকরণে। স্বচ্ছঠতায় জোর দিয়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে বিজেপিও শুদ্ধিকরণের রাস্তায় হাঁটল।
২০২১ লোকসভা ভোটের আগে শুধু তৃণমূলই নয়, বিজেপিও জোর দিল শুদ্ধিকরণে। স্বচ্ছতায় জোর দিয়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে বিজেপিও শুদ্ধিকরণের রাস্তায় হাঁটল। আলিপুরদুয়ারে পাঁচজন প্রভাবশালী নেতাকে বহিষ্কার করেই ক্ষান্ত থাকল না তারা, একইসঙ্গে দলকে নির্দিষ্টি নিয়মে বেঁধে দেওয়া হল। বুঝিয়ে দেওয়া হল দুর্নীতি বরদাস্ত নয়।
পাঁচ প্রভাবশালী নেতা বহিষ্কৃত
সম্প্রতি আলিপুরদুয়ারের কুমারগ্রামের পাঁচ প্রভাবশালী নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আলিপুরদুয়ার জেলা বিজেপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে পাঁচজনকে দলবিরোধী কাজের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে দল থেকে। বহিষ্কৃতরা হলেন-২১ নম্বর মণ্ডলের সহ সভাপতি গোপালচন্দ্র দাস, মণ্ডল সম্পাদক বলাই বিশ্বাস, বুথ সভাপতি বিধুভূষণ বিশ্বাস ও দুই সদস্য হিমাংশু সরকার ও বিমল সরকার।
উসকানিমূলক কথাবার্তা ও দলবিরোধী কাজে বহিষ্কার
অভিযোগ ওই পাঁচ সদস্য দলবিরোধী কাজ করছিলেন। উসকানিমূলক কথাবার্তা বলে পরিবেশ নষ্ট করছিলেন এবং আরও অনেক অভিযোগ ছিল তাঁদের বিরুদ্ধে। সেই কারণেই শাস্তিস্বরূপ তাঁদের অনির্দিষ্টকালের জন্য সাসপেন্ড করা হল। এই নেতাদের জায়গায় দল নতুনদের বেছে নিয়েছে।
২০২১-কে লক্ষ করেই এই শুদ্ধিকরণ
নতুন মণ্ডল সহ সভাপতি হয়েছে উৎপলকান্তি কুণ্ডু। মণ্ডল সম্পাদক হয়েছে লব বিশ্বাস। রাজনৈতিক মহল মনে করছে ২০২১-কে লক্ষ করেই এই শুদ্ধিকরণ। বাংলার মানুষের মন পেতেই দলকে স্বচ্ছতার মোড়কে রাখার চেষ্টা চলছে। ঠিক যেমন তৃণমূল শুদ্ধিকরণের রাস্তা নিয়েছে, বিজেপিও হাঁটল শুদ্ধিকরণের পথে।
দুর্নীতি অন্যতম ইস্যু হতে চলেছে এবার
এখন দুই পক্ষই ২০২১-এ বাংলার মসনদ দখল করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। এবার যে দুর্নীতি অন্যতম ইস্যু হতে চলেছে, তা স্পষ্ট। সেই কারণেই আগে থেকে তালিম দিয়ে রাখছে দুই দলই। স্বভাবতই শাসক তৃণমূলের দিকে দুর্নীতির অভিযোগ বেশি। কিন্তু বিজেপিও কম যায় না। তাই তো শুদ্ধিকরণের রাস্তায় হাঁটতে হচ্ছে।