বিজেপির কোমর ভেঙে তৃণমূলে ফিরে এলেন রবীন্দ্রনাথ, পুরভোটের আগে দলবদলের হিড়িক
বিজেপির কোমর ভেঙে তৃণমূলে ফিরে এলেন রবীন্দ্রনাথ, পুরভোটের আগে দলবদলের হিড়িক
ফের তৃণমূলে ফিরলেন রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য। পদ্মশিবির ছেড়ে তৃণমূলে ঘরওয়াপসির ধারা অব্যাহত একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পরে। এবার পুরভোটের আগে ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলার প্রাক্তন বিজেপি সভাপতির এই দলত্যাগ বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। ব্যারাকপুর জেলা তৃণমূলের সভাপতি পার্থ ভৌমিকের হাত ধরে তৃণমূলে ফেরেন রবীন্দ্রনাথ।
বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ঘরওয়াপসি রবীন্দ্রানাথের
একুশের নির্বাচনের পর থেকে ধারাবাহিকভাবে দলবদল চলছে। বাংলার ক্ষেত্রে তা একেবারেই একমুখী। বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরে আসছেন দলত্যাগীরা। ব্যারাকপুর বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন। তিনি ২০১৯-এর আগে তৃণমূলের সদস্য ছিলেন। দলীয় কোন্দলে তিনি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন।
পুরভোটের আগে রবীন্দ্রনাথের ঘরে ফেরা
বিজেপি ছেড়ে রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদানের অনুষ্ঠানে ব্যারাকপুর তৃণমূলের জেলা সভাপতি পার্থ ভৌমিক ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, বারাকপুরের বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী প্রমুখ। তাঁকে দলে যোগদান করিয়ে তৃণমূল জানিয়েছে, পুরভোটের আগে রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের ঘরে ফেরা তাদের আরও শক্তিশালী করবে।
তৃণমূলে যোগ দিয়ে যা বললেন রবীন্দ্রনাথ
তৃণমূলে ফিরে এসে রবীন্দ্রনাথ বলেন, তৃণমূলের এক নেতার সঙ্গে আমার মনোমালিন্য হয়েছিল বলেই দল ছেড়েছিলাম। বিজেপিতে গিয়ে সংগঠন গড়ার চেষ্টা করলেও পারিনি। যদিও আমি বিডেপিতে সভাপতি ছিলাম। কিন্ত সেখান থেকেও আমার মনে হয়েছে ভাইয়ে ভাইয়ে কথা কাটাকাটি হবেই, তাই নিজের ঘরে গিয়েই সেটা করা ভালো। তাই আমি ফের সবাইকে নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করলাম।
গোটা জেলায় প্রায় বিজেপি শূন্য হয়ে গিয়েছে
সোমবার শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, পার্থ ভৌমিক, রাজ চক্রবর্তীদের উপস্থিতিতে শুধু বিদেপির প্রাক্তন জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য নন। তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেছিলেন রবীন্দ্রনাথের অনুগামী একাধিক বিজেপি নেতা-কর্মী। শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় তাঁদের যোগদানে বলেন, রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য গোটা জেলায় প্রায় বিজেপি শূন্য করে দিয়ে সদলবলে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করলেন।
বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলের ফেরার হিড়িক
শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, আমরা তাদেরকে ফের দলে গ্রহণ করলাম। আবার পুরনো সঙ্গীদের ফিরে পেয়ে খুব ভালো লাগছে। একুশের নির্বাচনে বাংলায় বিপুল জয়ের পর মানুষ বিশ্বাস করতে শুরু করেছেন, আগামী ২৫-৩০ বছর বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও বিকল্প হবে না। বিজেপির কোনও ভবিষ্যৎ নেই। তাই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলের ফেরার হিড়িক পড়েছে।
পায়ের তলার জমি শক্ত করছে তৃণমূল
একুশের নির্বাচনের পর থেকে বাংলায় বিজেপির শক্তিক্ষয় হয়েই চলেছে। প্রতিদিনই রক্তক্ষরণ ঘটছে তাদের সংগঠনে। বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরে যাচ্ছেন নেতা-কর্মীরা। সম্প্রতি কলকাতা পুরসভা নির্বাচনে বিজেপির কঙ্কালসার চেহারাটা প্রকট হয়ে গিয়েছে ফের। সামনে চার পুরনিগমের নির্বাচন। সেখানেও বিজেপিকে হারিয়ে তৃণমূল তাদের পায়ের তলার জমি শক্ত করতে চাইছে।